ফেসবুকের ভুয়া সংবাদ : লেখকরা যেভাবে অর্থ উপার্জন করেন
প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৬, ১৭:৪৬ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬, ২০:০৭
পণ্যদ্রব্য বানিয়ে এবং তা ইন্টারনেটে আপ করে আপনি ঠিক কত টাকা অর্জন করতে পারবেন? ফেসবুক কেন্দ্রিক উর্বর ভুয়া সংবাদ লেখক পল হর্নার চলতি সপ্তাহে বলেছেন, “আমি প্রতি মাসে অ্যাডসেন্স থেকে ১০ হাজার ডলার আয় করি।” আর বেড়ে চলা একদল মেসিডোনিয়ান কিশোর যারা ভুয়া সংবাদ ছড়ানো সাইটগুলোকে সহজে অর্থ কামানোর উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছে তাদের মধ্যকার সবচেয়ে সফলজন প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার ডলার আয় করতে পারে।
এই অর্থ আসে বিজ্ঞাপন থেকে, যা গুগল এবং ফেসবুকের মতো কম্পানিগুলোর সেলফ সার্ভিস দ্বারা সরবরাহ করা হয়। এটি এমন একটি ব্যবসায় মডেল যা গত কয়েকবছরে বদলে গেছে। এমনটাই বলেছেন বিজ্ঞাপন প্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ এবং নিউ স্কুল এর মিডিয়া ডিজাইন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডেভিড ক্যারোল।
তিনি বলেন, যে কেউই একটি সাইট বানিয়ে তাতে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। সাইট বানিয়ে সহজেই ব্যবসা চালু করা কন্টেন্ট তৈরি করা যায়। আর একবার তা জনপ্রিয়তা পেলে সে সাইটে ভিজিটরার হুমড়ি খেয়ে পড়বেন।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের চরিত্র হননের জন্য অসংখ্য ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হত ফেসবুকে। এই ভুয়া সংবাদগুলো এমন কিছু সত্য বা প্রায় সত্য গল্পকে অবলম্বন করে তৈরি করা হত। ফলে পাঠকরা সহজেই সেগুলো বিশ্বাস করতেন।
ফেসবুকের এই পাঠকরা রক্ষণশীল এবং উদারতাবাদি এই দুইভাগে বিভক্ত।
এসব ভুয়া সংবাদ এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, এর ফলে সমালোচকরা ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভুয়া রাজনৈতিক সংবাদ ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ করেন। এবং গুগলকেও এজন্য কিছুটা দায়ী করা হয়। ফেসবুক অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এর ফলে সোমবার দুটি কম্পানিই যারা ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে অর্থ উপার্জন করছে তাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাক ডাউন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সূত্র: দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট