বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মাণকাজ অর্ধেক সম্পন্ন
প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৬, ০০:৫৫
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ নির্মাণের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী বছর ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক অপারেশন শুরু করতে পারবে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) গুলশানের বিটিসিএল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রকল্পের অগ্রগতি এবং সারা দেশে স্থাপিত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
তারানা হালিম বলেন, থ্যালেস অ্যালেনিয়া ফ্রান্স-এর ফ্যাসিলিটিতে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ ৮৩ শতাংশ, অ্যান্টিনা তৈরি ৫৬ শতাংশ এবং কমিউনিকেশন ও সার্ভিস মডিউল তৈরির কাজ ৬৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। সার্বিকভাবে বলতে পারি ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’-এর নির্মাণ কাজ গড়ে ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে তথা নির্ধারিত সময়ে শেষ হবে এবং যথাসময়েই এটির উৎক্ষেপণ হবে আশা করি। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর সেটি নিয়ন্ত্রণ কাজে বিটিসিএল স্টাফ কলেজ, গাজীপুরে প্রাইমারি ও বেতবুনিয়া, রাঙ্গামাটিতে সেকেন্ডারি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের জন্য চূড়ান্ত স্থাপত্য ও কাঠামো নকশা অনুযায়ী দুটি গ্রাউন্ড স্টেশনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাউন্ড স্টেশনের আর্থ ফিলিং, বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে এবং মূল ভবনের নীচতলার কাজও প্রায় শেষ। থ্যালেস ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর গ্রাউন্ড স্টেশনের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে গ্রাউন্ড স্টেশনের অ্যান্টিনা যন্ত্রাংশ আমদানি প্রক্রিয়া শুরু হবে।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করছে সরকার।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় দুটি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
দেশের ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল এর অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, মোট ২২ হাজার কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মধ্যে ১৩ হাজারের কাজ শেষ হয়েছে।
আরেকটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, “এর ফলে বিটিসিএল এর মাধ্যমে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভি ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করছি।”