যৌন নিপীড়ন: বিশ্বজুড়ে গুগল কর্মীদের ওয়াকআউট
প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৬ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৩
অফিসে নারী কর্মীদের যৌন হয়রানি এবং অভিযোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে বিশ্বজুড়ে টেক জায়ান্ট গুগলের সবগুলো কার্যালয় বর্জন করে বেরিয়ে আসছেন কর্মীরা।
গুগল কর্মীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগগুলোকে সামলানোর পদ্ধতিতে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে নজিরবিহীন এই পরিকল্পিত ওয়াকআউটের আয়োজন করা হয়। পলিসি পরিবর্তনের মধ্যে একটি হচ্ছে বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার ব্যবস্থার অবসান। এটি বন্ধ হলে হয়রানির শিকার কর্মীরা প্রয়োজনে মামলা করার সুযোগ পাবেন।
এর আগে যৌন হয়রানির জন্য অভিযুক্ত অ্যান্ডি রুবিনকে বলা হয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের ‘স্রষ্টা’। তার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ‘বিশ্বাসযোগ্য’ অভিযোগ রয়েছে বলে মনে করে গুগল প্রশাসন নিজেই। অথচ অভিযুক্ত উচ্চপদস্থ এই নির্বাহী কর্মকর্তা চাকরি ছাড়ার সময় কোম্পানি থেকে ৯ কোটি মার্কিন ডলার পেয়েছেন। এই খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন গুগলের কর্মীরা।
এদিকে, সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওয়াকআউটকারী প্রত্যেক কর্মী অফিস ছেড়ে বের হওয়ার সময় ডেস্কে একটি চিরকুট রেখে যাবেন: ‘আমি আমার ডেস্কে নেই কারণ আমি অন্যান্য গুগলার ও কনট্রাক্টরদের সঙ্গে বের হচ্ছি যৌন হয়রানি, নিপীড়ন, স্বচ্ছতার অভাব এবং এমন একটি কর্মক্ষেত্র সংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে, যা সবাই মেনে নিতে পারছেন না।’
প্রতিবাদে প্রথম ওয়াকআউটটি হয়েছে ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রতিষ্ঠানটির সিঙ্গাপুর কার্যালয়ে। এভাবে একে একে প্রতিটি গুগল কার্যালয়ে স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় কর্মীদের কাজ বর্জন চলতে থাকবে।
এ প্রসঙ্গে গুগলের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই সব কর্মীদের উদ্দেশ্য করে পাঠানো ইমেইল বার্তায় বলেন, আমি বুঝতে পারছি, আপনারা কী পরিমাণ ক্ষুব্দ এবং হতাশ। এটি এমন একটি ইস্যু, যা খুব বেশি সময় ধরে আমাদের সমাজে, এবং গুগলেও টিকে আছে। এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার জন্য আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ৪৮ জন কর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শাস্তি হিসেবে চাকরি ছাড়ার সময় পাওনা অর্থ না দিয়েই বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিচাই।