কক্ষপথে পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের লাগবে ৮ দিন
প্রকাশ | ১০ মে ২০১৮, ১৭:৫০
বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণ হচ্ছে ১০ মে (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ২টা থেকে ৪টার মধ্যে। উৎক্ষেপণের আট দিন পর এটি পৌঁছাবে নির্ধারিত কক্ষপথে। এর মাধ্যমে ৫৭তম স্যাটেলাইট সদস্য দেশের তালিকায় নাম লেখাবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণ যান ফ্যালকন-৯-এর সফল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২ হাজার মাইল ওপরে মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় অবস্থান করবে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে দেশটির বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে এটি পৌঁছাবে নির্ধারিত কক্ষপথে, উৎক্ষেপণের আট দিন পর।
প্রায় দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। ৩ দশমিক ৭ টন ওজনের কৃত্রিম স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্যাটেলাইট সদস্য দেশের মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশ।
টেলিভিশন ও বেতার সম্প্রচার, ইন্টারনেট সেবাদান, ভি-স্যাটসহ ৪০ ধরনের সেবা দেবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে টেরিস্ট্রিয়াল অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি সারা দেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলি যোগাযোগব্যবস্থা বহাল রাখবে। এর আগে এসব সেবার জন্য দেশের টেলিভিশন চ্যানেল কিংবা টোলিযোগাযোগ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সিঙ্গাপুর, হংকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট ব্যবহার করত। আর এসব সেবা এখন নিশ্চিত করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।
প্রায় ১৫ বছর মিশনের কৃত্রিম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ কক্ষপথে যাওয়ার পর ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন থেকে শুরু করে বাংলাদেশ-ভারত হয়ে তাজিকিস্তান পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করবে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থেকে ৪০ মেগাহার্টজ গতিতে। এর মধ্যে ২৬টি কেইউ ব্যান্ড এবং ১৪টি থাকবে সি ব্যান্ডের।
স্যাটেলাইটটি প্রাথমিকভাবে পরিচালনা করবে ফ্রান্সের থ্যালেস এলেনিয়া স্পেস। তবে পরবর্তী সময় এটি পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি শক্তিশালী দেশীয় জনশক্তি।