প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
বাংলাদেশিদের পদচারণায় মুখর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা
প্রকাশ | ১০ মে ২০১৮, ১৩:২৬
উৎক্ষেপণের জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ১০ মে স্থানীয় সময় (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টা ১২ মিনিটে মহাকাশে যাবে বাংলাদেশের প্রথম এই কৃত্রিম উপগ্রহ। এই উৎক্ষেপণ উপলক্ষে বাংলাদেশিদের পদচারণায় উৎসবমুখর যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের মিয়ামি, কোকোয়া বিচ ও অরল্যান্ডো এলাকা।
শুধু ফ্লোরিডা নয়, নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, কানেকটিকাট, ম্যাসাচুসেটস, জর্জিয়াসহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে শত শত প্রবাসী বাংলাদেশি ফ্লোরিডা যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ যান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্স-এর মিডিয়া বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১২ মিনিটে মহাকাশে যাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা) বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য আনুষ্ঠানিক সময় ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনও (বিটিআরসি) প্রস্তুত। ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ফ্লোরিডা ছুটে গেছেন ৩০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল।
আওয়ামী লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ও বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী ড. সিদ্দিকুর রহমান, সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সেন্টুসহ ফ্লোরিডার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
ড. সিদ্দিকুর রহমান জানান, উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠান উৎসবমুখর করতে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্য থেকে দলের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে ফ্লোরিডা যেতে শুরু করেছেন। শুধু দলের নেতা-কর্মীরাই নন, এই অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণে ফ্লোরিডাগামী হচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন। ১০ মে’র অনুষ্ঠান স্মরণীয় করে রাখতে পুরো দিনটি ঘিরে ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল থেকে কেনেডি স্পেস সেন্টারের আশপাশে নেতাকর্মীরা আনন্দ র্যালি বের করবে। সন্ধ্যার পর থেকে ফ্লোরিডার আকাশজুড়ে আতশবাজির ঝলকানি দেখা যাবে।
তিনি বলেন, ৯ মে থেকে কেনেডি স্পেস সেন্টারের পার্শ্ববর্তী কোকোয়া বিচের অধিকাংশ হোটেলে রুম খালি নেই। অভ্যন্তরীণ এয়ার লাইন্সগুলোতেও আসন মিলছে না।
এদিকে উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানের পরের দিন কোকোয়া বিচ হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস। সজীব ওয়াজেদ জয় ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে গেলে নিজস্ব স্যাটেলাইটের অধিকারী বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসাবে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটবে। এছাড়া এই স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেমন নির্ভরতা কমবে অন্য দেশের ওপর, তেমনি দেশের অভ্যন্তরীণ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।