'জেন্ডার সেন্সিটিভ' সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ!!
প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৮:৪৭
আপা বলেছেন দেশে পরিচালিত পর্ন সাইটে প্রবেশকারীদের পরিচয় জানার সিস্টেম করা হবে। বিশেষ কৌশল হিসেবে এই সিদ্ধান্ত, যেন পর্ন সাইটে ঢুকার টেন্ডেন্সি কমে আসে। ১০০ ভাগ না হইলেও হয়, ৮০ ভাগ হইলেও নাকি বিরাট অর্জন। সুতরাং হাত তালি হবে।
হাত তালি হবে মেয়েদের পক্ষ থেকে। কারণ মেয়েদের তো যৌন চাহিদাই নাই! যৌন অবদমনের কোনো ব্যাপারও নাই তাই। উনারা তো পর্ন সাইটে যাওয়া যায় এইটা ভাবতেই পারেন না! তাই তাদের ধরা খাওয়ার ভয় পাওয়ারও প্রশ্ন আসেনা। মাস্টারবেশন? মেয়েরা?? ছি ছি! কখনোই না! তাই নারীদের আশঙ্কামুক্ত রাখা এই সিদ্ধান্তের জন্য হাত তালি হতেই হবে! ছেলেদের মোক্ষম উপায়ে বধ করার জন্যেও মেয়েদের পক্ষ থেকে হাত তালি নিশ্চয়ই হবে।
আর কৃতজ্ঞতা হবে ছেলেদের পক্ষ থেকে। কৃতজ্ঞতা হবে অন্য এক ভুবনের দ্বার উন্মোচনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। এতোদিন যাদের জন্য রুদ্ধদ্বারে নিজের হাত খানাই ভরসা ছিলো, এখন তাদের লাইভ অভিজ্ঞতা ছাড়া গতি নাই। এখন লাইভ কি পয়সা দিয়ে হবে, জোর করে হবে, লুকায়ে চান্সে হবে, নাকি বিয়া করে হবে তাতে কার কী?? তারা কি ইচ্ছা করে করবে? বাধ্য হয়েই না...। আরো আছে। পয়সা দিয়ে করলে তো কারো আয় হবে তাইনা? কারো উপকার হইলো। আর জোর করে করলে ক্ষতি তো নাই, ১০০টার মধ্যে কয়টার বিচারই বা হয়? লুকানোটার কথা তো দূরের কথা। বুঝতে বুঝতেই কম্ম কাবার। তবে বিয়া করে করলে সব দিক থেকে মঙ্গল। পরিবারের আশা পূরণ হয়, ধর্ম রক্ষা হয়, চরিত্রের মার্কেট বজায় থাকে, বংশ বিস্তারও রক্ষা হয় ইত্যাদি। যারা এর কোনোটাই করতে পারবেন না তাদের ও হতাশ হওয়ার কিছু নাই। নিয়মিত চর্চায় তাদের কল্পনা শক্তি হয়ে উঠবে আরো আরো প্রখর। সুতরাং যেকোনো উপায়েই বিকল্প আসুক, ছেলেদের দিক থেকে আগে বা পরে কৃতজ্ঞতা অবধারিত।
এই সমাজে ছেলে-মেয়ে ব্যতীত বাকী কারো তো অস্তিত্বই নাই! তাই হিসাব শেষ। 'নারী-পুরুষ' নির্বিশেষে সমাজের সকলের মঙ্গল হয় এমন সিদ্ধান্তের জন্য অবশ্যই হাত তালি আর কৃতজ্ঞতা হবে!
লেখক: উন্নয়ন কর্মী