বিনামূল্যে প্রাপ্য আইনি সহায়তা
প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৬, ২১:৩৪
আমাদের সবারই কম বেশি আইনি সহায়তার প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপট এমন যে দারিদ্র্য বাধা হয়ে দাঁড়ায় আইনি সহায়তার জন্য আবেদন করতে। আর সেটা হয় কারণ আমরা অনেকেই জানি না যে, বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য আইন প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ সরকার।
২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে "আইনগত সহায়তা প্রদান আইন ২০০০"। এই আইনের আওতায় জাতীয় আইনগত সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রণীত আইন অনুযায়ী যারা প্রকৃতপক্ষে সহায় সম্বলহীন তারাই এর আওতায় পরে।
নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী এই সহায়তা যারা পাবেন:
#যেকোনো অসচ্ছল ব্যক্তি যার বছরে আয় ৫০০০০ টাকার বেশি নয়।
#কর্মক্ষম নয় বা আংশিক কর্মক্ষম বা কর্মক্ষম বা কর্মহীন মুক্তিযোদ্ধা, যার বছরে আয় ৭৫০০০ এর কম
#বয়ষ্ক ভাতা প্রাপ্ত ব্যক্তি
#এসিডদগ্ধ, পাচারে ক্ষতিগ্রস্ত নারী
#বিনা বিচারে আটক ব্যক্তি, অসচ্ছল ব্যক্তি।
দেওয়ানি এবং ফৌজদারী উভয় মামলাতেই এই সহায়তা পাওয়া যায়। যেমন যৌতুকের জন্য অত্যাচার, স্বামী কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, আইনের সহায়ক কোনো ব্যক্তি হতে হয়রানি। আর দেওয়ানি মামলার ক্ষেত্রে সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত বিষয়, স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ এসব বিষয় আওতায় রয়েছে।
কিভাবে পাবেন:
প্রতি জেলায় আইনগত সহায়তা কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করে পূরণ করে জমা দানের মাধ্যমে সরাসরি আবেদন করা যাবে। জেলায় অবস্থিত কারা কর্মকর্তা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের কাছে থেকে আবেদনপত্র নিয়েও আবেদন করা যাবে।
এছাড়া জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা ও উপজেলা কার্যালয়েও আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। এই আবেদনপত্র জেলা আইনগত সহায়তা কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। আবেদন যাচাইয়ের পর আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী নিয়োগের মাধ্যমে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়।
লেখক: আইন শিক্ষার্থী