আমার স্মৃতিতে জসীম ভাই

প্রকাশ | ০২ অক্টোবর ২০১৭, ২১:০৬ | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৭, ২১:১২

'দরখাস্ত করে, হুজুরের পানিপড়া দিয়ে, স্লোগান দিয়ে এই সমাজ একচুলও পরিবর্তন করা যাবে না। সমাজতন্ত্র ছাড়া কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না। এই সমাজ বড়লোকের সমাজ, শ্রমশোষণের সমাজ, এই সমাজ ভাঙ্গিতে হবে এবং ভাঙ্গিতেই হবে।'

-- বিপ্লবী জসীমউদ্দিন মণ্ডল

এই কথাগুলোর মধ্য দিয়ে জসীম ভাইয়ের সাথে পরিচয়। ২০১৪ সাল, আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সময়। 'বিপ্লবীদের কথা' প্রকাশনায় চাকরির জীবন শুরু। বিপ্লবীদের কথার সম্পাদক শেখ রফিক কোনো একদিন পার্টি অফিসে বসে জিজ্ঞেস করেন, জসীম ভাইকে চিনো? তুমি তো বাম সংগঠন করো। খুব বিনীতভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলাম- না। 

সেদিনই 'জসীম ভাই' নামটির সাথে পরিচিতি হয়। বিপ্লবীদের কথা প্রকাশনা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়, জীবিত বিপ্লবীদের কর্ম, দর্শন, রাজনীতি নিয়ে কাজ করার, সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে বই আকারে প্রকাশ করার। জসীম ভাইয়ের গল্প শোনা শুরু, তাঁর জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তাঁর ভিতর থেকে আমারই বের করে আনতে হবে। তাঁর সম্পর্কে ধারণা নেবার জন্য 'জীবনের রেলগাড়ি' বইটি পড়ি। হ্যাঁ, জীবনের রেলগাড়ি আমার আজকের 'লাবণী' গড়ে তোলার পিছনে যথেষ্ট অবদান রেখেছে। ঝরঝরে, তকতকে শব্দভাণ্ডারে বইটি সাজানো।

২০১৪ সাল, জসীম ভাইয়ের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কাজ শুরু হয়। তিনি তখন পার্টি অফিসে এসেছিলেন, এক সপ্তাহের জন্য পার্টির কোনো কাজে। সকাল দশটা থেকে তাঁর পার্টির কাজ শুরু হবে, তাই সকাল সাতটায় পার্টি অফিসের ছাদে উপস্থিত থাকতাম। প্রথম প্রথম হিমশিম খেতে হয়েছে কোথায় ৯৪ আর কোথায় ২৩! 

নাহ্, কিংবদন্তী ব্রিটিশবিরোধী কমরেড জসীমউদ্দিন মণ্ডল আমাকে গড়ে নিয়েছিলেন। প্রশ্ন বুঝতে তাঁর কষ্ট হয় নি। এভাবেই চলছিল আমাদের কাজ। নারী, প্রেম, বিয়ে, সেক্স, রাজনীতি, অর্থনীতি কত বিষয়! কত কথা! একবার তো, রীতিমতো দ্বন্দ্ব লেগে গেল। মস্কোপন্থী আর পিকিংপন্থী নিয়ে। কেউ কাউকে ছাড়ি নি, যুক্তি দিয়ে, ইতিহাস খণ্ডিয়ে সেদিন এর সমাধান করেছিলাম।

'এই যে, জসীম ভাইকে দেখছো, জসীম মণ্ডলকে দেখছো না, কমরেডকে দেখছো না, সারাদেশের মানুষ যে আজ চিনে না! জানো, এর পিছনে কার অবদান? জসীম মণ্ডলের বউ জাহানারার অবদান। সে যদি না থাকতো জসীম মণ্ডলের বাপেরও ক্ষমতা ছিল না পার্টি করার, শ্রমিকনেতা হওয়ার, তোমাদের কমরেড হওয়ার।' জসীম ভাইয়ের এই স্বীকৃতিটা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। 

সাক্ষাৎকারে যখন নারী বিষয়ক আলোচনায় এসেছিলাম তখন জসীম ভাই এসব বিষয় অকুতোভয়ে খুব গর্বসহকারে বলেছিলেন। আরো দৃঢ়ভাবে, শক্তভাবে বলছিলেন, 'লাবণী বড় বড় কমরেড দেখো না, বড় বক্তৃতাবাজ দেখো না, এদের পিছনে নারীদের অর্থাৎ বউদের অবদান খুব বেশি'। 

জসীম ভাইকে প্রশ্ন করেছিলাম, আপনি কেনো সিপিবি করেন?
স্পষ্টভাবে জবাব দিয়েছিলেন, সিপিবির অনেক ভুল-ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও সিপিবিই করি। কারণ, কোন দল করবো বলো! আর বামপন্থীদের এক হতে সমস্যাটা কোথায় বলো তো, চুলকানিটা কোথায়? সবাই তো সমাজতন্ত্রই চায়। 

এরপরও জসীম ভাইয়ের সাথে একাধিকবার দেখা হয়েছে। তিনি যতবার ঢাকা এসেছেন ততবারই দেখা করেছি, উনিও দেখা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। পার্টির কংগ্রেস, যুব ইউনিয়নের সম্মেলন।

জসীম ভাই আপনার শেষ ইচ্ছে কি?
‘আমার একটা ইচ্ছা হলো- ক্ষুদিরামের একটা মঞ্চ বানাবো। ক্ষুদিরামের ফাঁসির মঞ্চ- আমার বাড়ির সামনে। বাড়িতে ঢোকার পথে। ওই মঞ্চের বেদিতে বিপ্লবীদের নাম লিখে রাখবো। আর আমি যদি মরে যাই, তাহলে তোমরা (বিপ্লবীদের কথা) বানাবা। এটা তোমাদের কাছে আমার দাবি’। 

আমরা সকলে মিলে এই শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করব কমরেড।

....(বিপ্লবী জসীমউদ্দিন মণ্ডল ৬ আগস্ট ২০১৫, সকাল ৯.২৩ মিনিট বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) অফিসের ছাদে। বিপ্লবী জসীমউদ্দিন মণ্ডলের সাক্ষাৎকার আকারে জীবনী সংগ্রহের সময় একথা বলেন।)

ঈশ্বরদী থাকা অবস্থায় সপ্তাহে দু'একবার কল করে খোঁজ নিতাম। বুঝতে পারতাম ঢাকার লাবণীর প্রতি তাঁর আন্তরিকতা। 

কেমন আছো লাবণী?
কি তোমাদের সবার খবর কি?
বইয়ের দোকান চলে? বই কিনে মানুষ?....
এই তো গত সপ্তাহে বাড়ি থেকে ফোন আসে, 'লাবণী বলছেন? 
হ্যাঁ।
আমি জসীম ভাইয়ের নাতনী রূপা বলছি। তিনি তো খুব অসুস্থ আপনাকে দেখতে চাচ্ছেন....
সেদিন কিছু না বলে, ঈশ্বরদী চলে যাবার পরিকল্পনা করি। কিন্তু, না বিশেষ কারণে যাওয়া হয় নি। তারপরই শুনতে পাই, জসীম ভাইকে ২৯ তারিখ ঢাকায় শিফট করা হবে। সেদিন থেকেই ভেবেছিলাম, কমরেডের সেঞ্চুরীর স্বপ্নটা পূরণ হবে না।

হ্যাঁ, কমরেডের সেঞ্চুরীর স্বপ্ন ছিল। যারা তাঁর সাথে মিশেছেন, তাদের একথা মুখস্ত। জসীম ভাই, সেঞ্চুরী করতে হবে তো! 'লাবণী ও ভেবে কাম নাই, আমি সেঞ্চুরী করবোই, জানো তো এ হাত বয়লার মারার হাত, ব্রিটিশ মারার হাত। তোমাদের কত হেনতেনও হয়। ওসবের বালাই নেই আমার। ডায়বেটিস, লিভার, কিডনী কোনো ঝামেলা নেই। সেঞ্চুরী আমি করবোই'। খুব দৃঢ়বলে বলতেন কথাগুলো।
এইতো, শেষবার যখন পিজিতে আনা হলো তাঁকে তখনো বলছিলেন, 'তোমরা ভেবো না, আমি মরবো না। আমার জন্য আম আর মুরগীর স্যুপ নিয়ে আসবে'।

বৃহস্পতিবার ২৮ তারিখ, জসীম ভাইকে ঢাকা পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপে আনা হয়। 

শেষ কথোপকথন: 

সেদিন শনিবার, দুপুর দুটো পেরিয়ে আড়াইটা বাজে। বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। পান্থপথ মোড় পেরিয়ে হেলথ অ্যান্ড হোপের লিফটের ষষ্ঠতলায় ৭০৭ নম্বর কেবিনে প্রবেশ করলাম। প্রিয় ব্যক্তিত্ব জসীম মণ্ডল শুয়ে আছেন। পাশে গিয়ে হাতটি চেপে ধরে ডাকলাম, জসীম ভাই লাবণী, আমি লাবণী। নাহ্, কোনো কর্ণপাত নেই। একাধারে বকেই যাচ্ছেন, কিসব বলেই যাচ্ছেন। 
হাতটা চেপে ধরে, আরেকটি হাত দিয়ে মুখমণ্ডল, বুকে, হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলাম। 
তখনও চিনতে পারছেন না, তাকিয়ে দেখছেন, বোঝার চেষ্টা করছেন...
কিছুক্ষণ পর আবারও কাছে গিয়ে বললাম, জসীম ভাই আমি লাবণী। পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলেন, ওকে না দেখতে চেয়েছিলে....
হ্যাঁ, তুমি লাবণী! 
হ্যাঁ, আমি বিপ্লবীদের কথার লাবণী মণ্ডল। 
আচ্ছা, ওহ্... পাশের টিভির শব্দ হচ্ছিল...
কিসের শব্দ হচ্ছে বলে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন?
জসীম ভাই, টিভিতে খবর পড়ছে.... চাউলের দাম সত্তর টাকা, পেঁপে ছাড়া সব সবজি পঞ্চাশ টাকা তাই বলছে।
ও গরিব মানুষের চাউলের দাম কত লাবণী?
জসীম ভাই, মোটা চাউল ৫০-৫৫।
আচ্ছা...

আবার, প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে ফেললেন। তার এত চিকিৎসার ব্যয় কে নেবে বলে টেনশন করছেন। 
চুপ থাকেন বলে মাথাটায় হাত বুলিয়ে দিলাম।
অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে ছিলাম, মানুষটি দৈহিকভাবে চলে যাবেন! 
ডাক্তার প্রবেশ করলেন, ডায়বেটিস মেপে দেখবেন। জসীম ভাই চেঁচিয়ে উঠলেন, ডাক্তার পেইন, আমাকে মেরে ফেলবে, ওকে যেতে বলো। মেজাজ চড়িয়ে ডাক্তারকে বকে দিলেন বাচ্চা শিশুদের মতো কান্নাজড়িত কণ্ঠে, ডাক্তার পেইন, ডাক্তার পেইন বলে চিল্লালেন।
কিছুক্ষণ পর ডেকে বললেন, 'লাবণী চলে যাও, যা হবার তা হবে নি, অতো ভেবে কাম নেই, জন্মিলে মরিতে হবে, যাও অফিসে যাও....'।
জসীম ভাই, অফিস বন্ধ, থাকি।
নাহ্, যাও।
সমাজতন্ত্র আসবে, শুধু টাকা কামাই করবে না, হিন্দু মুসলিম ভাববে না, মিলেমিশে থাকবে, মণ্ডল তো হিন্দু!
তখন আর কথা বলতে পারি নি, স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। তারপর ফিরে আসি, আগামীকাল আবার আসবো বলে বিদায় নেই।
রবিবার, অফিস শেষে হেলথ হোপে ঠিকই যাই। কিন্তু জসীম ভাইকে, দেখতে পারি নি। মৃত্যুর সাথে লড়ছিলেন, সারাটা রাত আইসিইউ থেকে কেবিন, কেবিন থেকে আইসিইউ করেছি। 

হ্যাঁ, জসীম ভাই দৈহিকভাবে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন। কিন্তু, বেঁচে থাকার শিক্ষা, লড়াইয়ের শিক্ষাটা দিয়ে গেলেন। কমরেড আপনার দেখানো পথই আমাদের পথ। আপনার অসমাপ্ত কাজ আমরাই করবো।

জসীম ভাইয়ের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জী:

১৯২০ সালে কুষ্টিয়া জেলা কালীদাশপুর গ্রামে কিংবদন্তী বিপ্লবী কমরেড জসীম উদ্দিন মণ্ডল জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবার নাম হাউসউদ্দীন মণ্ডল রেলওয়েতে চাকরি করতেন। মায়ের নাম জহুরা খাতুন। বাবার চাকুরীর সুবাদে সিরাজগঞ্জে, রানাঘাটে, পার্বতীপুর, ঈশ্বরদী, কোলকাতায় বসবাস করেন। বাবার সাথে কোলকাতায় নারকেলডাঙা রেল কলোনিতে বসবাসকালে মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সে মিছিলে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।

১৯৪০ সালের মাঝামাঝিতে শিয়ালদহে মাসিক ১৫ টাকা মাইনেতে রেলের চাকরিতে যোগ দেন। 

১৯৪০ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিআই)’র সদস্য পদ লাভ করেন। 

১৯৪১-৪২ সালে জসীম মণ্ডলের প্রমোশন পেয়ে সেকেন্ড ফায়ারম্যান হন। 

রেল শ্রমিক আন্দোলনে তিনি জ্যোতি বসুর সহকর্মি ছিলেন। ১৯৪৬ এর নির্বাচনে রেল আসনে জ্যোতিবসু’র নির্বাচী প্রচারনায় সক্রিয় অংশ নেন।

১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর জসীম মন্ডল পার্বতীপুর এবং তাঁর বাবা ঈশ্বরদীতে বদলি হয়ে আসেন। 

১৯৪৯ সালে রেলের রেশনে চাউলের পরিবর্তে খুদ সরবরাহ করলে রেল শ্রমিক ইউনিয়নের ‘খুদ স্টাইকের’ অপরাধে জসীমউদ্দিন মণ্ডলসহ ছয় নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে এবং রেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে চাকুরীচ্যুত করে। ১৯৫৪ সালে তিনি মুক্তি পান। মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর আবার তাঁকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হলো। এসময় রাজশাহী জেলে কিছুদিন থাকার পর তাঁকে ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে বদলি করা হল। ১৯৫৬ সালে তিনি মুক্তি লাভ করেন। ১৯৬২ সালের দিকে আবার গ্রেফতার হন এবং ১৯৬৪ সালে মুক্তি পান। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি কলকাতা চলে যান। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তি অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করেন। কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি মানুষের সার্বিক মুক্তির লড়াই-সংগ্রামের জন্য স্বাধীন বাংলাদেশেও তাঁকে জেল বরণ করতে হয়েছে। 
মোট ১৭ বছর কারারুদ্ধ ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ৫১ বছর বয়সে জসীম মন্ডল সংগঠক এবং উদ্দীপক হিসেবে ব্যাপক ভুমিকা রাখেন।

১৯৭৩ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করেন।

১৯৯৩ সালে সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। 

২০১২ সালে সিপিবি’র উপদেষ্টা মনোনীত হন। আমৃত্যু এ দায়িত্ব তিনি পালন করেন।

কমরেড জসীম মন্ডল বাংলাদেশ রেল শ্রমিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা ছিলেন। 

কমরেড জসীম উদ্দিন মন্ডল ১৯৪২ সালে জাহানারা খাতুন মরিয়মের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কমরেড মরিয়ম তাঁর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জুগিয়েছেন সারাজীবন। জসীম-জাহানারা দম্পতি পাঁচ কন্যা ও এক পুত্রের জনক-জননী ছিলেন।

অনলবর্ষী বক্তা কমরেড জসীম উদ্দিন মন্ডল আজ ২ অক্টোবর, ২০১৭ ঢাকার হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতালে ৯৭ বছর বয়সে দৈহিকভাবে নিষ্ক্রিয় হোন।

জসীম ভাই মরেননি। মৃত্যু তার হয় যার সমাজ-সভ্যতা বিকাশের ক্ষেত্রে ও মানুষের কল্যাণে কোনো ভূমিকা বা কর্ম থাকে না।
আপনি বেঁচে থাকবেন শ্রমিক, কৃষক, মেহতনি জনতার মাঝে। 

জয়তু কমরেড
লাল সালাম

লেখক: লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট