প্রশ্ন রেখে গেলাম মাননীয় স্পীকার
প্রকাশ | ২৯ জুন ২০১৭, ২২:০১ | আপডেট: ২৯ জুন ২০১৭, ২২:০৮
ভারতে নাকি গরুকে দেওয়া হচ্ছে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা! তারা নাকি এতটাই গরুর প্রতি প্রেম-ভক্তিতে অন্ধ হয়ে গেছে বুঝতেই পারছে না গরুর জন্য মানুষ নাকি মানুষের জন্য গরু?
ভারত যত দ্রুত এই ধর্মান্ধদের কবল থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে ততই মঙ্গল হবে রাষ্ট্রটির জন্য। নয়তো অদূর ভবিষ্যতে 'আই এম গোপাল এন্ড আই এম নট এ সান অফ কাউ' এমন প্লেকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে।
তবে এমন অন্যায়ের পরেও যে দিকটা চোখে পড়ে সবসময়ই সেটি হচ্ছে, সে দেশের একটা বড় অংশের নাগরিকরা বাংলাদেশের তথাকথিত সেক্যুলারদের মত বধির বা অন্ধ সেজে বসে থাকেন না। তারা প্রতিবাদ করেন, রাস্তায় নামেন। তারা অপরাধ লুকানোর তাগিদে বা নিজের ধর্মকে বাঁচানোর উদ্দেশ্য নিয়ে কখনও সবার আগে গীতা ঘেঁটে বলতে আসেন না 'আমাদের ধর্ম এটা সমর্থন করে না, আমাদের ধর্ম শান্তির ধর্ম।'
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার বিরলী গ্রামের ধন্যরাম রায় (১৬) নামে জনৈক হিন্দু কিশোরকে মর্মান্তিকভাবে পিটিয়ে অন্ডকোষ নষ্ট করে হত্যা করা হয় ভুট্টা ক্ষেতে। আমাদের দেশে এই নিউজটি তেমন কোন তথাকথিত নামজাদা পত্রিকায় আসেনি এবং এমন অনেক খবরই হয়তো আসে না। কারণ, এসব খবরে নাকি সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায়, বিদ্বেষ ছড়ায়! অতএব, এই ধরণের খবর চেপে যেতে হবে। কোন অখ্যাত পত্রিকা কিংবা অনলাইন পোর্টাল যদি এমন খবর উঠিয়েও নিয়ে আসে বলতে হবে এইসব পত্রিকাগুলোর কোন ভরসা নেই। অতএব ইগনোর করতে পারেন। তবে অন্যদেশের ঘটনাগুলো এই দেশে এমনভাবে হাইলাইট করতে হবে যাতে করে কয়েকটা হিন্দু ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার সময় যুক্তি হিসেবে ঠিকমত কাজে লাগানো যায়।
বুঝলাম, ভারতের ধর্মান্ধরা সে দেশের সংখ্যালঘুদের না হয় নির্যাতন করছে, গরু খাওয়াকে কেন্দ্র করে বর্বর, ঘৃণ্য মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। কিন্তু সে দেশের মডারেট মুসলমান নুসরাত কিংবা মীরও যে বাংলাদেশের সংখ্যাগুরুদের রাতের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে এটাও কি এক ধরনের মানসিক নির্যাতন নয়? প্রশ্ন রেখে গেলাম মাননীয় স্পীকার।
ডানা বড়ুয়া'র ফেসবুক থেকে