আমাদের ধর্মে কি কোন অনুভূতি নেই?
প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৭, ২১:২৬ | আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭, ২১:৩৪
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমি এক অঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কারণ আমার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্রহাতে যুদ্ধ করেন নি। কোন মুক্তিযোদ্ধাকে খাবার কিংবা পানীয় যোগান দেন নি।। কিন্তু তিনি যুদ্ধচলাকালীন সময়ে ভারতে অবস্থান করে শরনার্থী শিবিরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিচালিত স্কুলে শিক্ষকতা করেছিলেন। আমার বাবা এই মহান পেশাকে যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করতেন না। যার ফলশ্রুতিতে ঝকঝকে একখানা মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট সারা জীবন আলমারির উপরের তাকে শোভা বর্ধন করে গেলেও আমি বা আমাদের পরিবার কখনই নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বলে দাবী করিনি।
আজ জাতির এক চরম ক্রান্তিলগ্নে জানতে ইচ্ছে করে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য? এদেশের ত্রিশলক্ষ মুক্তিযোদ্ধার কেউ কি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর আপনজন ছিলেন, কি না?
কেননা যখন সংবাদ সম্মেলনে আমাদেরই প্রধানমন্ত্রীর কাছে শুকর, মদ এবং গাঁজা খাওয়া লোকেরা পারভার্টেড বলে সার্টিফিকেট পায় তখন অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই হৃদয়ে টান টান ব্যথা অনুভূত হয়। কারণ একমাত্র ইসলাম ব্যতিত অন্য কোন ধর্মাবলম্বীদের এই সব খাওয়াতে শাস্ত্রীয় বিধানে কোন বাধা নেই। যদিও চিকিৎসা বিজ্ঞানে কিঞ্চিৎ আপত্তি রয়েছে। অবস্থা ভেদে এগুলোর ব্যবহার আবার চিকিৎসা শাস্ত্রে রয়েছেও।
জানি এখানে এখন মৎস্যন্যায় যুগ চলছে। বড় বড় কর্তাব্যক্তিরা ছোটদের অপদস্থ বা গিলে খেয়ে হজম করে নিলে কেউ কিছু বলার নেই। কিন্তু আমাদের জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তিনি তো ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, যমুনা সমান, তিনি তো সকল বাঙালির কাছে সমান ভাবে বহমান। তার দেশে কি আমরা কেবলই হীনজান? আমাদের ধর্মে কি কোন অনুভূতি নেই? আমাদের কি থাকতে নেই কোন মান সম্মান?
স্বপ্না দে'র ফেসবুক থেকে