সেলফি তুললে ধর্ষণ জায়েজ!
প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৭, ২২:২২
ধর্ষকের সাথে ধর্ষিতার সেলফিতে আসলে কী কী প্রমাণ হয়? চলুন, দেখা যাক।
আমার কিছু ছেলে বন্ধু এবং পুরুষ কলিগের সাথে পাশাপাশি এবং অনেক সময় গায়ে গা লাগিয়েও ছবি তুলেছি। অতএব, এরা যদি কখনো আমাকে ধর্ষণ করে তবে সেটা জায়েজ।
একটা বাচ্চা মেয়ে এবং তার পরিবারকে চিনতাম। মেয়েটাকে তার নিজের মামা ধর্ষণ করেছিল। সেই মামার কোলে বসা অবস্থায় মেয়েটার অনেক ছবি আছে। অতএব, যেহেতু মামার কোলে বসা অবস্থায় ভাগ্নীর ছবি আছে, সেহেতু মামা কর্তৃক ভাগ্নি ধর্ষণ জায়েজ।
একটা দশ বছরের মেয়েকে তার সৎ বাবা রেপ করেছে এবং মেয়েটা গর্ভবতী হয়ে পড়েছে বিধায় এই বাচ্চা মেয়েটাকে এবরশন নামক কষ্টকর পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। খুঁজলে কি সৎ বাবার সাথে এই মেয়ের দু চারটা ছবি পাওয়া যাবে না! কোনরকমে একবার ছবি খুঁজে বের করেন। এই ধর্ষণের দায়ও মেয়ের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে।
প্রায় প্রতিটা মেয়েরই তার বাপ, ভাই, খালাতো, মামাতো, চাচাতো ভাইয়ের সাথে ছবি থাকে। অতএব, বাপ, ভাই, খালাতো, চাচাতো ভাই যদি মেয়েটাকে রেপ করে তবে সেটা নিশ্চয় মিউচুয়ালই হবে। যেহেতু একসাথে ছবি তুলেছে তারা।
যারা রেপ ভিকটিমদের সাথে ধর্ষকদের সেলফি প্রকাশ করে খুব ভাব নিচ্ছেন, এবং যারা সেইসব পোস্টে লাইক দিয়ে হারামিগুলার "পাসায় আছেন", সেই ভাইসব এবং বোনসব। আপনাদের ব্রেইনের এই দুর্দশা কি জন্ম থেকে আবর্জনা খেয়ে বড় হওয়ার কারণে? নাকি বড় (!) হয়ে আপন জুয়েলার্স এর "সোনাবেচা" টাকা খাওয়ার কারণে? কোনটা? সঠিক কারণ ঠিক কোনটা?
বৈশালী রহমান এর ফেসবুক থেকে