অভিনন্দন প্রিয়াংকা!
প্রকাশ | ০৮ মে ২০১৭, ১৪:২৬
মিডিয়ার মেয়ে মানেই কলগার্ল, চাইলেই তাকে বিছানায় পাওয়া যায়- এরকম একটা বিশ্রী ধারণা দেশে-বিদেশে সবখানে আছে। আজকে ভারতের টালিউডের একজন অভিনেত্রীর কাজে আনন্দিত হলাম। অভিনেত্রীর নাম প্রিয়াংকা। তিনি বাংলাদেশের এক ডিরেক্টরের সিনেমায় বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ প্রযোজনায় কাজ করছিলেন। হঠাৎ পরিচালকের অপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে তিনি বলে দিয়েছেন- তিনি সিনেমা করবেন না। সমস্ত স্ক্রিনশট ফাঁস করে দিয়ে তিনি বলেছেন- পরিচালকের অপেশাদারসুলভ আচরণে তিনি বিরক্ত ও বিব্রত।
আমরা মেয়েরা প্রতিনিয়ত এই আচরণের সম্মুখীন হই, যত্রতত্র দেখি। যেহেতু তুমি একজন পুরুষের সাথে কাজ করছ, কাজেই তোমাকে তোমার মেধার পাশাপাশি একটি নতুন বিনিয়োগ যোগ করতে হবে, সেটা হচ্ছে- তোমার শরীর!
এই শরীর দেখিয়েই তোমাকে সুযোগ সুবিধা আদায় করে নিতে হবে। কি টিভি পর্দায়, কি স্ক্রিনের আড়ালে। স্ক্রিনের আড়ালের খেলাটি বড় কুৎসিত। মডেল তিন্নি, মডেল রাহা- এদের লাশগুলি সেই সাক্ষী। আসামীদের কি হয়েছে তা পুলিশ বাহিনীই বলতে পারবে!
অপু বিশ্বাস নামের মেয়েটিকে মিডিয়ার সামনে বাচ্চাসমেত হাজির হওয়ায় যতই গালি দেন, অস্বীকার করতে পারবেন না যে শাকিব খানের মতন স্বামীরা বীর্যস্খলনের এসব সুবিধা দেখেই নিজেদের ক্যারিয়ারের দোহাই দিয়ে, বাচ্চা বন্ধক নিয়ে মেয়েগুলিকে চুপ করিয়ে রাখে। এরপর সুযোগ বুঝে চিরতরে চুপ করিয়ে দেয়! আর চুপ করিয়ে দেওয়ার পর দাবিও করা যায় না সে ব্যবহৃত নাকি পরিত্যাক্ত। বরং পরিবারের তরফ থেকে কিছু বলতে গেলেও মৃতদেহটির গায়ে লাগে ‘বেশ্যা’ তকমাটি।
অভিনন্দন প্রিয়াংকা! আপনি পেরেছেন! মিডিয়ার মেয়ে মানেই খারাপ, মিডিয়ার মেয়ে মানেই ‘চাহিবামাত্র শরীর দানে বাধ্য থাকিব’, মিডিয়ার মেয়ে মানেই নষ্ট ও উচ্ছিষ্ট নয়। একজন অভিনেত্রীর অভিনয় প্রতিভার নিদর্শন খানিকটা টাকার বিনিময়ে পাওয়া যেতে পারে, কিন্তু শরীরটা সেখানে ফ্রি নয়- এই শিক্ষা ভিক্ষা নেওয়ার কথা এইসব ডিরেক্টরদের মনে থাকবে তো?
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি'র ফেসবুক থেকে