সংখ্যালঘুদেরকেও যাদুঘরে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে
প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:৩৫ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ২৩:৪০
আমাদের রসিক প্রধানমন্ত্রী সুন্দরবন নিয়ে সামান্য রসিকতা করেছেন। রসিকতা করতে গিয়ে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতাকারীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “মানুষের ভাল মন্দ দেখার দরকার নাই, সেখানে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্য তারা কাঁদছেন। সুন্দরবনে গিয়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের সাথে দেখা করে তারা জিজ্ঞাসা করুক, কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না।"
অসুবিধা হচ্ছে না বুঝলাম কিন্তু সুবিধা যে হচ্ছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সেটাই বা প্রধানমন্ত্রী কিভাবে জানেন? যাই হোক, যেহেতু বাঘ কথা বলতে পারে না অতএব সুবিধা, অসুবিধা নিয়ে বাঘের সাথে আলোচনা করা না করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কিছুক্ষন হাসাহাসি করা যায়, আলোচনা সমালোচনা করা যায়। যত যাই হোক, দিনশেষে প্রধানমন্ত্রীও একজন মানুষ, রয়েল বেঙ্গল টাইগার না অতএব হাসি-ঠাট্টা, খোঁচা-খুঁচি এইসব উনি করতেই পারেন।
তবে সত্যি বলতে কি, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর খুশি হওয়া উচিত যে বাঘ কথা বলতে পারে না, চট্টগ্রাম শহরের কুকুরগুলো কথা বলতে পারে না। অন্যথায় তাদের জন্য আয়োজিত এই নির্মম হত্যাযজ্ঞগুলো ঘটানোর জন্য এই নির্বোধ প্রাণীকুলের কেউ উচ্চবাচ্য করতে চাইলেই হয়তো প্রয়োগ করা হতো অনেক ধারা-উপধারা।
-প্রতিনিয়ত ঘটে চলা সংখ্যালঘু হামলাতে পালিয়ে যাওয়া সংখ্যালঘুরা কিংবা ভয়ে ভয়ে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর কাছে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী কখনো জানতে চেয়েছেন তারা কেমন আছেন?
-তারা নিজেদের দেশে কতখানি নিরাপদে আছেন?
নাকি তারা কথা বলতে পারলেও তাদের কথাকে গুরুত্ব দিয়ে শোনার মতো সময় আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নেই? তার চেয়ে শফি হুজুর কিংবা চরমোনাই কিংবা ওলামা-লীগের দাবী দাওয়াগুলো শুনতে বেশী ভালো লাগে।
প্রধানমন্ত্রীকে পরিবহনকারী ভ্যানটির মতো আর অল্প কিছুদিন বাদেই এই দেশের বাকী সংখ্যালঘুদেরকেও যাদুঘরে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে সাথে থাকবে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ফসিল ও সংখ্যালঘুদের পোড়া বাড়িঘরের ছাই-ভস্ম!
ডানা বড়ুয়া'র ফেসবুক থেকে