কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে সরকারের মিথ্যাচার!
প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০১৭, ০২:১১
এই সরকার সুন্দরবন ধ্বংস করে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেই ছাড়বে। আর সেজন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য যত ধরনের মিথ্যাচার, প্রতারণা আর ভন্ডামি করা প্রয়োজন তার সব কিছুই করছে বর্তমান সরকার ও তার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।
সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ (Power Division) তাদের ফেসবুক পেইজে জার্মানির রাইন নদের তীরের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কিছু ঝলমলে ছবি প্রচার করে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে দেশের সহজ সরল মানুষের মগজ ধোলাই করছে।
আমি গত আট বছর ধরে জার্মানিতে থাকি। জার্মানির কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নিয়ে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়, মানুষ ও পশুপাখিদের জীবনে হুমকি আর এ সংক্রান্ত রাজনৈতিক সংকটের নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখি। প্রকৃত সত্যিটি হচ্ছে- পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে ২০২২ সালের মধ্যে জার্মানির সব কয়টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর রাইন নদের পাড়ের মূলহাইম ক্যারলিশের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সেই অঞ্চলের পরিবেশের ওপর ঝুঁকি এবং জনগণের আন্দোলনের মুখে তা কখনও চালুই করা হয়নি। উল্টো পাঁচ মিলিয়ন ইউরো খরচ করে তা ভেঙ্গে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জার্মানির কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে পরিবেশ, বন্যপ্রাণী আর জনগণের জীবনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ার কারণে ২০২২ সালের মধ্যে এ দেশের সকল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ভেঙ্গে ফেলা বা বন্ধের সিদ্ধান্তের নির্ভরযোগ্য খবর এখানে আছে - (https://www.youtube.com/watch?v=xCrVYd3aKcA&feature=youtu.be) (https://en.m.wikipedia.org/wiki/M%C3%BClheim-K%C3%A4rlich_Nuclear_Power_Plant) ।
বাংলাদেশ সরকার আর তার সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে সাবধান করে দিচ্ছি, দেশের সহজ সরল জনগণকে মিথ্যাচার, ভন্ডামি আর চালাকির মাধ্যমে বুঝিয়ে রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুন্দরবন, অসংখ্য দুর্লভ বন্যপ্রাণী আর এ অঞ্চলের মানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করলে জনগণ আপনাদেরকে কখনোই ক্ষমা করবে না।
ফারজানা কবীর খান এর ফেসবুক থেকে