শাহবাগ থানায় সাংবাদিককে বেধড়ক পিটুনি
প্রকাশ | ২৬ জানুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৮
জাতীয় কমিটির আধা বেলা হরতাল চলাকালে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী আবদুল আলিম অভিযোগ করেছেন, তাকে থানায় বেধড়ক পেটানো হয়।
২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) হরতাল শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিতে সমর্থনকারী বামপন্থি বেশ কিছু ছাত্র সংগঠন সকালে শাহবাগ মোড় অবরোধের চেষ্টা করে। তাদেরকে কাঁদানে গ্যাস ও গরম পানি ছুড়ে হটিয়ে দেয় পুলিশ। এরপর দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা দেড়টার দিকে শাহবাগ থানার সামনে দুই জনকে আটক করে থানার ভেতরে নেয়। বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের ক্যামেরাম্যান আব্দুল আলিম ওই ঘটনার ভিডিও করতে যান। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তার ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই গণমাধ্যমকর্মী পুলিশকে তার পেশাগত পরিচয় জানান। এরপরও তার পিঠ ও মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত হানা হয়।
ভুক্তভোগী আব্দুল আলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সাংবাদিক বলার পরও পুলিশ আমাকে গেটের মধ্যে নিয়ে মারধর করে। তাদের বাধা দিতে গেলে আমাদের রিপোর্টার ইশান দিদারকে পিটিয়েছেন পুলিশ।’
আবদুল আলিমের কর্মস্থল এটিএন নিউজের এসোসিয়েট হেড অব নিউজ প্রভাষ আমিন তার ফেসবুকে স্ট্যাটাসে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে লিখেন, ‘এটিএন নিউজের ক্যামেরাপারসন আব্দুল আলিমকে পুলিশ শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে পেটাচ্ছিল। বাধা দিতে গেলে রিপোর্টার ইশান দিদারকেও পিটিয়েছে পুলিশ। ২০/৩০ জন পুলিশ মিলে এই দুই সাংবাদিককে বেধড়ক পিটিয়েছে। এখন তাদের ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হয়েছে। আমাদের ক্যামেরাম্যান বা রিপোর্টার যদি বেআইনি কিছু করে থাকে, পুলিশ তাদের আটক করতে পারতো। এমনও নয় রাস্তায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাঝখানে পড়ে তারা মার খেয়েছে। ঠান্ডা মাথায় থানার ভেতরে নিয়ে ২০/৩০ জন মিলে দুই জন নিরস্ত্র সাংবাদিককে পিটিয়েছে। কেন? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্যই চাই।’
উক্ত ঘটনায় শাহবাগ থানার এ এস আই এরশাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।