মেয়েরা শিখুক নিজের একটি ঘর বানাতে

প্রকাশ | ০৯ জুন ২০১৬, ২২:৫৫

বাঙালি মেয়েরা হচ্ছে জোঁকের মতন। স্বামী মারবে অথচ মার সহ্য করে মাটি কামড়ে পড়ে থাকবে। কিছুদিন আগে একটা মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছে আমার, যে এই স্বভাব ত্যাগ করেছে। প্রতিরাতে শুধুমাত্র পড়ালেখাটি চালিয়ে নিয়ে যাবার দায়ে অত্যাচারী স্বামীর মার সহ্য না করে বেরিয়ে এসেছে। অবাক হয়ে দেখলাম সে মারের জন্যই শুধু নয়, মনের জন্য হলেও বেরিয়ে এসেছে। সিনেমার মতন ফ্যান্টাসিতে ভুগে যে বিয়ে করেছিল একটি দিনমজুর ও পশু স্বভাবের স্বামী নামক প্রভুকে।

সে আমাকে বলেছিল সে টুকটাক লেখালিখি করে। সে বই পড়তে ভালোবাসে। অথচ তার অশিক্ষিত স্বামী প্রভুটি বুঝতেই পারেনা তার বউটি পড়ে লিখে কি করবে। রবীন্দ্রনাথের ‘চোখের বালি’ পড়ে এসেছে যে মেয়ে সে একজন ওরকম স্বামী মেনে নেবে কীভাবে?

প্রতিদিন রাতে মার খেয়ে আর যাই হোক ভালোবাসার ভূতটি নেমে গিয়েছিল মেয়েটির মাথা থেকে। সে বুঝেছিল ভালোবাসা শুধু দেহেরই আকর্ষণ না। তাতে খুব বেশি করে মন জড়িত। দুইটি মন এসে একবিন্দুতে না মিশলে শরীর কোনো কাজেই লাগেনা। মন না মিললেও প্রতিদিন দেহের ওপর যে অত্যাচার সেটি ধর্ষণ ছাড়া আর কিছুই নয়।

আমি মেয়েটিকে বলেছি- আমি তার পাশে আছি। আমি চাই, মেয়েরা এসব অত্যাচারী স্বামীদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসুক। তারা নিজের পায়ে দাঁড়াক, নিজে একটি নিজের ঘর বানাক। নিজে ইনকাম করুক, তারপর বিয়ে করুক। নিজের টাকাটি হোক। 

ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি মা’র কোনো বাড়ি নেই। মায়ের ভাইয়ের বাড়িটি মামার বাসা, মায়ের বাবার বাড়িটি নানার বাসা, মা’র সংসারটি আমার বাবার বাসা। মা’র বাসাটি কই, মা’র ঘরটি কই? 

মেয়েরা শিখুক নিজের একটি ঘর বানাতে। অন্যের ঘরটিকেই নিজের সংসার বানিয়ে নেওয়ার মতন বোকামি আর নেই!

জান্নাতুন নাঈম প্রীতি’র ফেসবুক থেকে