অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয়ে যায় না!
প্রকাশ | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:৩১ | আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:৩৩
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালকের ২৫টা মহা মহা ভুল বানানওয়ালা একটি ‘মহান’ স্ট্যাটাস দেখার পর মনে পড়লো- পেরেলমান নামের একজন মহা বিখ্যাত রাশিয়ান গণিতবিদকে আমার খুব পছন্দ। উনি ফিল্ড মেডেল নামক ১মিলিয়ন ডলারের বিশাল অঙ্কের একটা টাকা পুরস্কার নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তাঁকে সাংবাদিকেরা জিজ্ঞেস করেছিল- এতো বড় পুরস্কার ফেরত দিলেন কেন? তিনি হাসিমুখে জানালেন- কারণ যারা পুরস্কারটা দিচ্ছেন, তারা নিজেরাই জানেন না- ঠিক কেন আমাকে পুরস্কার দিচ্ছেন। জানেই না- আমি আসলেই কি আবিষ্কার করেছি! আমার থিওরেম তারা বুঝতে পারলেই হবে, পুরস্কার লাগবে না!
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালককে দেখে স্বস্তি পেলাম। যে লোকের বাংলা বানানের এই দশা, তার হাত থেকে কোনো পুরস্কার আমার কপালে জোটেনি দেখে! তিনি কীভাবে বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক হলেন, সেই প্রশ্ন তুলে রাখলাম। আপাতত তিনি এই বানানভুলের গাড়ি হয়েও কীভাবে রবীন আহসানের মতন একজন স্বনামধন্য প্রকাশকের মাথায় বাড়ি দিলেন, হয়রানি করলেন এবং আপাতত নিজের অধীনে থাকা বাংলা একাডেমী’র সমালোচনা করায় দুইবছরের জন্য ‘শ্রাবণ প্রকাশনী’কে ‘নিষিদ্ধ’ করলেন তা জানা দরকার। তাকেও কাগজে কলমে ও হাতে কলমে জানানো দরকার- ঠিক কতোটা অকাট মূর্খ হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে নিজের অযোগ্যতা প্রমাণ করেছেন তিনি।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক জনাব শামসুজ্জামান খান, খুব ভদ্র ভাষায় আপনাকে একটি উপদেশ লেখক হিসেবে আমি দিতেই পারি। সেটি হচ্ছে- সময় থাকতে প্রেসের ও মিডিয়ার লোকজন ডেকে তাদের সামনে ক্ষমা চান, একজন প্রকাশককে অন্যায়ভাবে অসম্মানিত করার জন্য। ক্ষমা চান, কারণ কাউকে ‘নিষিদ্ধ করা’র ক্ষমতা আপনার নেই, আপনার মতন তিন মেয়াদে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ‘বাংলা একাডেমী’র মহাপরিচালক সেজে ধরাকে সরা জ্ঞানও তিনি করেননি। ক্ষমা চান এবং নিজের চেয়ার থেকে সরে দাঁড়ান। দেখবেন সেটা খানিকটা হলেও আপনার সম্মান ফিরিয়ে আনবে!
আর ক্ষমা না চেয়ে যদি গোঁয়ারের মতন ওই চেয়ারে বসে থেকে আজেবাজে কথা বলতেই থাকেন, সেক্ষেত্রে বলবো- আপনার জন্য অসম্মানটাই প্রাপ্য। ওই চেয়ারেই বসে থাকুন। অন্ধ হয়ে থাকুন। কিন্তু মনে রাখুন- অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয়ে যায় না! ১৬ কোটি মানুষের ভালবাসা নাইই পেলেন, ঘৃণার ভার আজীবন সইতে পারবেন তো?
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি'র ফেসবুক থেকে