যৌন স্বাধীনতা বলে আলাদা কিছু নেই
প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৬, ২৩:৩৯
মেয়েদের যৌন স্বাধীনতা আবার কি? যৌন স্বাধীনতা পেয়ে বিয়ে করা বৌ আর কারোর সাথে শুচ্ছে কল্পনা করে পুরুষেরা সেই চিন্তা মাথা থেকে দূর করে দেয়। পাগলামি নাকি! তাহলে আর বেশ্যার সাথে পার্থক্য থাকলো কোথায়? ছিঃ ছিঃ! কাজেই সব স্বাধীনতা থাকবে, কিন্তু যৌন স্বাধীনতার নামটি তুমি মুখে নেবেনা!
১৮৮৯ সালে পাচিংগার নামের একজন জার্মান নৃতাত্ত্বিক আবিষ্কার করলেন ‘সতীত্ব বন্ধনী’ নামের একটা অদ্ভুত জিনিস আছে। সেটা নারীর কোমরে বেড়ির মতন পরিয়ে তালা দিয়ে রাখতো পুরুষেরা। পাচিংগার সতীত্ব বন্ধনী পরানো একটা মেয়ের কঙ্কাল আবিষ্কার করলেন এক পুরানো গির্জার কফিন থেকে। ছেলেরা নিজেরা ইচ্ছেমতন ঘুরে বেড়াবে, অথচ মেয়েটিকে সম্পত্তির মতন আগলে রাখবে!
সেই সতীত্ব বন্ধনীগুলোই কালে কালে সতীদাহ, সিঁদুর খেলা, পায়ের নীচে বেহেশত আর বিয়ের ফর্মে নতুন প্যাকেটে তুলে দেওয়া হয়েছে মেয়েদের হাতে। কাজেই যদি সতীত্ব না থাকে, পুরুষের সাথে মেলামেশা করো দেখা যায় তাহলেই শুরু হয়ে যাবে কানাঘুষা- তুমি নষ্টা, বেশ্যা, খারাপ মেয়েমানুষ!
যৌন স্বাধীনতা বলে আলাদা কিছু নেই। স্বাধীনতা মানে হচ্ছে স্বাধীনতা। মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন, কাজেই নারীকে স্বাধীনতা দেওয়ার ক্ষমতা পুরুষের নয়। নারীকে স্বাধীনতা দেবার ক্ষমতা নারীর নিজের- টাকা উপার্জন করে, শিক্ষিত হয়ে, স্বাবলম্বী হয়ে। কারণ যৌন স্বাধীনতা মানে দৈহিক সম্পর্কের প্রস্তাবে সবসময় ‘হ্যাঁ’ বলে দেওয়া না, ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ দুইটাই বলতে পারার স্বাধীনতা!
জান্নাতুন নাঈম প্রীতি'র ফেসবুক থেকে