যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে ‘আকবরি ষড়যন্ত্র’

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:৫১

তুরিন আফরোজ

মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর পৃথিবীর ইতিহাসে মহান শাসকদের অন্যতম ‘মহামতি আকবর’ নামে পরিচিত। মৃত্যুর সময় তার বিশাল সাম্রাজ্য কাবুল থেকে বাংলা এবং হিমালয় থেকে আহমেদনগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সম্রাট আকবর ইতিহাসে আজও এক উজ্জ্বল রত্ন হয়ে বিদ্যমান। এই রত্নের সভায় তিনি ছাড়াও ছিলেন আরো নয়জন রত্ন যাদের একসাথে বলা হয় আকবরের সভার ‘নবরত্ন’। স্ব-স্ব ক্ষেত্রে এরা ছিলেন শ্রেষ্ঠ ও অতুলনীয়, তাদের তুলনা শুধু তারা নিজেরাই হতে পারতেন আর এজন্যই সম্রাট আকবরের সভা তাদের আলোয় দীর্ঘকাল আলোকিত হয়ে ছিলো। তবে আমার এই লেখাতে ‘আকবরি ষড়যন্ত্র’ বলতে বোঝানো হয়েছে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সঙ্ঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারকে প্রতিহত করতে দেশে-বিদেশে যে ষড়যন্ত্রের জাল বিছানো হয়েছে তা আসলে কোন একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড নয়। বরং এই ষড়যন্ত্র বিস্তার লাভ করেছে অক্টোপাসের মত, তার কিছু মুখ চেনা-জানা আর বেশীরভাগ মুখ আড়ালে-আবডালেই ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চলেছে।

বিজয় লাভের পর থেকেই বাংলাদেশের জনগণ একাত্তরে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবি করে আসছে। এই দাবিকে সত্য মেনে প্রণীত হয়েছে ১৯৭২ সালের দালাল আইন এবং ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন। ১৯৭২-এ গঠিত হয়েছে দালাল আইনের অধীনে বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। বাংলাদেশ রাষ্ট্র শুধু আইন প্রণয়ন এবং ট্রাইব্যুনাল গঠন করইে থেমে থাকেনি, বরং দৃঢ়তার সঙ্গে বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে প্রমাণ করেছে যে এই বিচার বিষয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র জোর প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

পঁচাত্তর পরবর্তী রাজনৈতিক মেরুকরণে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে বাধ্য করা হয়েছে যুদ্ধাপরাধ বিচারের অঙ্গীকার থেকে সরে দাঁড়াত। রাজনতৈকি পরিমণ্ডলে যুদ্ধাপরাধী চক্রের পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবিটিকে ‘সামগ্রিক বিস্মৃতি (Collective Memory Loss)-এর অন্তরালে পর্যবসিত করার পুরোদস্তুর প্রয়াস চালানো হয় বছরের পর বছর। ধ্বংস করা হয় প্রয়োজনীয় দলিলপত্র, নিপীড়ন চালানো হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর, জাতিগত মগজ ধোলাইয়ের উদ্দেশ্যে একাত্তরের ইতিহাসকে ল্টে ফেলার নগ্ন-ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র চালানো হয়।

১৯৯২ সালে ‘শহীদ জননী জাহানারা ইমামের আন্দোলন’ সময়ের গতি পাল্টে দেয়। ‘গণআদালত’ থেকে যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবিটি আবারও ইতিহাসের রাজপথে নতুন স্লোগানের জন্ম দেয়, নতুন আবেগ নিয়ে আবির্ভূত হয়। কিন্তু থেমে থাকেনি বিচার বিরোধী চক্রান্ত। নিত্য নতুন কৌশল নিয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টিতে তারা একের পর এক মারণাস্ত্র ব্যবহার করে আসছে।

ষড়যন্ত্র ১৯৯৩
গণআদালতের অব্যাহতি পরই হঠাৎ করে দেখা যায় দেশজুড়ে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে একের পর এক ফৌজদারি আইনে মামলা করা হচ্ছে। এই তৎপরতায় অনেকেই যারপরনাই খুশি হলেন, ভাবলেন এই তো বেশ বিচার শুরু হয়ে গছে। কিন্তু এই পুরো ব্যাপারটিই ছিল একটি গভীর চক্রান্তের অংশ। ফৌজদারি আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রচুর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মামলা প্রমাণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, এমনও হতে পারে যে একজন প্রকৃত অপরাধী বেকসুর খালাস পেয়ে যাচ্ছে। সুতরাং যুদ্ধাপরাধীরা নিজেদের লোক দিয়ে মামলা করিয়ে একবার খালাস পেয়ে গেলে তাদের আর পুর্নবার বিচারের সুযোগ থাকবে না। এতে লাভ অনেক – বিচারের নামে বিচারও হলো, আবার সসম্মানে খালাসও পেল। দায়মুক্তির এর চাইতে বেশি ভাল কৌশল আর কি-ই বা হতে পারে? জাহানারা ইমামের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সামাজিক প্রতিহতকরণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই ‘পাইকারি দরে’ ফৌজদারি আইনের অধীনে মামলা দায়ের করার ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করা হয়েছে।

ষড়যন্ত্র ২০০৬
এর পর যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয় দেশের বাইরে থেকে। রেমন্ড সোলেমান নামে এক অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী যুবক হঠাৎ করে অস্ট্রেলিয়ার আদালতে বাংলাদেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার চেয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বসে। আন্তর্জাতিক মহলে বিষয়টি বেশ দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এরূপ মামলা দায়ের করায় প্রবাসী স্বঘোষিত আন্তর্জাতিক আইন বিশারদ একজন তো সোলেমানকে ‘বাঘরে বাচ্চা’ নামে অভিহিত করে ফেললেন, তাঁর পক্ষে আন্তর্জাতিক প্রচারণাও চালিয়ে গেলেন। বললেন, নির্মূল কমিটি যা পারেনি, অস্ট্রেলিয়ার এক বাঙালী যুবক তা করে দেখিয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রটি ছিল অন্যরকম। কোনভাবে অস্ট্রেলিয়ার আদালত থেকে মামলাটি খারিজ করাতে পারলে প্রতিষ্ঠিত হবে যে, একাত্তরে পাকিস্তান বাংলাদেশে কোন যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করেনি। এতে লাভবান হবে দু’পক্ষ – এক, পাকিস্তান রাষ্ট্র কলঙ্কমুক্ত হবে; দুই, পাকিস্তান রাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধী বাংলাদেশী দোসররা পাবে দায়মুক্তি। এখতয়িার বহির্ভূত হওয়ার কারণে মামলাটি অস্ট্রেলিয়ার কোর্ট গ্রহণ না করে ফেরত দেয়ায় সেই ষড়যন্ত্রটি সফলতার মুখ দেখতে ব্যর্থ হয়।

মজার ব্যাপারটি হলো, পরে অনুসন্ধান করে জানা যায়, এই সোলমোন ছিল একজন শিবিরকর্মী এবং আইএসআই-এর মদদপুষ্ট এবং অর্থাশ্রিত তথাকথতি ‘বাংলাদশে-প্রেমী’(!)। আর সেই যে আন্তর্জাতিক আইন বিশারদ যিনি সারাবিশ্বে ‘বাঘ মামা’ হয়ে সোলেমানের দায়েরকৃত মামলার পক্ষে ব্যাপক জনপ্রচারণা চালালেন, তিনি পরবর্তীতে ‘স্কাইপি কলেঙ্কোরির’ অন্যতম নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হলেন।

ষড়যন্ত্র ২০০৯
২০০৮ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে যখন যুদ্ধাপরাধ বিচারের ইস্যুটি বাংলাদেশে নতুন গতি পায় ঠিক তখনই শুরু হলো আরেক নতুন ষড়যন্ত্র। এবার যুদ্ধাপরাধ বিচার-বিরোধীরা নামল নতুন দাবিতে – বিচার হলে তা করতে হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত বা ICC-তে। তাদের দাবি অনুযায়ী রোম স্ট্যাটিউটে বাংলাদশেকে পক্ষ বানিয়ে ICC-তে বিচার না করা গেলে নাকি কোন বিচারই হবে না – ‘আন্তর্জাতিক মান’ লঙ্ঘিত হবে। সোলেমানের সেই ‘বাঘ মামা’-কে হঠাৎ দেখা গেল ঘন ঘন বাংলাদেশে আগমন করতে। উদ্দেশ্য একটাই – দেশীয় ট্রাইব্যুনাল নয়, বরং ICC-তে যেন যুদ্ধাপরাধ বিচারটি করা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে জামায়াত-বিএনপি জোটও একই দাবি তুলল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় অনেক প্রতিথযশা আইনজীবীকেও দেখা গেল নির্ভাবনায় দাবি জানাতে যেন ICC-তে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করা হয়। আর শুরু না হওয়াতে দেশ-বিদেশে সরকার পতনের আন্দোলনকে গতিশীল করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, ICC-র কোন এখতয়িার নেই ২০০২ সালের ১ জুলাই-এর পূর্বে সংঘটিত কোন অপরাধের বিচার করার। তাহলে ১৯৭১-এ সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচার কি করে ICC-তে করা সম্ভব? একটি অর্থহীন অবাস্তব দাবিকে সামনে রেখে যুদ্ধাপরাধ বিচারকে নস্যাৎ করাই ছিল এই ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য।

ষড়যন্ত্র ২০১৪
২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ICC-তে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাত্তরের অপরাধের বিচার চেয়ে অভিযোগ আনে ‘প্রজন্ম ৭১’ নামক একটি সংগঠন। তবে এখানে উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশে আমরা যে ‘প্রজন্ম ৭১’ কে চিনি, যার সভাপতি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের পুত্র সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর – এটি সেই সংগঠন নয়। অপরাধের বিচার দাবি করা যে কোন সভ্য সমাজেরই নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু বিচার দাবি করাটাই যদি কোন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে দাঁড়ায়, আইনি জটিলতার সুযোগ নিয়ে প্রকৃত অপরাধী ব্যক্তি বা সংগঠনের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তখন ভূলুণ্ঠিত হয় মানবতা, সফল হয় অপরাধী-চক্রান্ত।

অভিযোগের কপি ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি জাতিসংঘ অফিস নেদারল্যান্ডের দূতাবাসে দেয়া হয় (জনকণ্ঠ, ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪, পৃষ্ঠা-১, কলাম-২)। ঐ একই তারিখে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমদে এক বিবৃতিতে জানান যে, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বাইরে কোথাও নতুন করে গঠন করার পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী (প্রথম আলো, ২১ জানুয়ারি, ২০১৪, পৃষ্ঠা-১৪, কলাম-৮)। বিশ্বাস করার জন্য ঘটনাটি খুব বেশি কাকতালীয়। তবে এটুকু নিঃসন্দেহে বলা যায় যে যৌথ দাবিটি দুরভসিন্ধমিূলক। কারণ—

প্রথমতঃ ‘প্রজন্ম ৭১’ নামক সংগঠনটি পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিচার চেয়ে কোন দাবি কখনই আমাদের দেশীয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীনে গঠিত তদন্ত সংস্থা, প্রসিকিউশসন টিম বা মাননীয় ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করেনি। উপরন্তু ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন রায়ে মাননীয় ট্রাইব্যুনাল স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছে যে, ১৯৭৩ সালের আইনের অধীনে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা সম্ভব। কাদের মোল্লার আপীলের রায়েও একই সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের মাধ্যমে গঠিত তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশন টিম। এই র্মমে বিশদ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে (Dhaka Tribune, ২৮ ডিসেম্বের, ২০১৪, পৃষ্ঠা-১, কলাম-৬)। সুতরাং দেশীয় একটি তদন্ত ও বিচারিক কাঠামো বহাল থাকা অবস্থায় এবং সেখানে তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পরও কেন তারা ICC-তে অভিযোগ দায়ের করতে গেলেন এটা মোটেও সুস্পষ্ট নয়।

দ্বিতীয়তঃ ICC-তে যেখানে ২০০২ সালের ১ জুলাইয়ের র্পূবে সংঘটিত অপরাধের বিচার কোনক্রমেই সম্ভব নয়, সেখানে পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবিতে ICC-তে অভিযোগ দায়ের করার মানেই হলো মূলত এই বিষয়ে আমাদের দেশীয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত ও মামলার অগ্রগতিকে অযাচিতভাবে প্রতিহত করা; অর্নথক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা; নতুবা নেহায়েত পক্ষে ICC-তে আন্তর্জাতিক বিচারের ধুয়া তুলে দেশীয় তদন্ত ও মামলার কাজকে দীর্ঘায়িত করা।

তৃতীয়তঃ বাংলাদেশে চলমান নিরপেক্ষ ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক বিচারিক প্রক্রিয়ার দাবি জানানো বা ঐ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করা হলো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী এ ধরনের কর্মকাণ্ড রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘আকবরি ষড়যন্ত্র’ অক্টোপাসের মত নানা সময়ে নানা দিক থেকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছে। কখনও সাময়িকভাবে সফল হলেও শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে সত্য আর ন্যায়ের। এ পর্যন্ত প্রায় ৩৪টি মামলার রায় হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। মোট ৭টি মামলার আপীল ও রিভিউ শুনানি হয়েছে আপীল বিভাগে। তার মধ্যে ৬টি মামলাতে মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে। অতএব, ‘আকবরি ষড়যন্ত্র’-এর জাল যতই বিস্তারিত করা হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে ন্যায়বিচারের, জয় হয়েছে বাংলাদেশের!

লেখক: আইনজীবী ও আইনের শিক্ষক
প্রথম প্রকাশ: ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত