নাচো তবে তোমাদের পুরুষত্ব নিয়ে!

প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ০১:৪৪

‘চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর’ হত্যা করা হয় মেয়েটিকে!

আচ্ছা মেয়েটির উপর যখন অমানুষগুলো এগিয়ে আসছিল, ওর কি ছোট বেলায় ওর বাবা যে ওকে জড়িয়ে ধরে বলেছিলো ''সোনা-মা আমার'' সেটা মনে পড়ছিলো? ওর ভাইয়ের সাথে শেষবার যে খাবার কম বেশি নিতে গিয়ে খুনসুটি হতো সেই কথা মনে পড়ে যাচ্ছিলো? মেয়েটা কি খুব করে মায়ের বুকে লুকাতে চাইছিলো আরো একবার...?

মা’কে শুধু মায়ের মুখটাই কি ওর মনে পড়ছিলো? না কি ওর বোধ শক্তি সব ঐ কালো মুখগুলো দেখেই মরে গিয়েছিলো? ওর খুব খুব ঠান্ডা লাগছিলো। ওর আসলে কিছুই মনে পড়ছিলো না... কিচ্ছু না।

“মেয়েটি তাদের বলেছিল, সঙ্গে যা টাকা পয়সা আছে, তা নিয়ে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ধর্ষণের পর ঘাড় মটকে, মাথা থেঁতলে তাকে হত্যা করে বাসের কর্মচারীরা লাশ রাস্তায় ফেলে চলে যায়।”

শেষবার নিঃশ্বাস নিতে যেয়ে কি আরো একবার তাকিয়ে ছিলো সেই মুখগুলোর দিকে? ও কি বলে যেতে চেয়েছিলো ওর বুকের গভীরে যত্ন করে রাখা স্বপ্নটার কথা? রূপা’র বিবর্ণ পৃথিবীতে তলিয়ে যেতে যেতে সবটুকু ঘৃণা নিয়ে ও কি কষে একটা লাথি দিতে চেয়েছিলো এই নির্যাতক পুরুষ পৃথিবী’কে !!!

ও কি খুব করে তীব্র ঘেন্নায় হেসে উঠেছিলো 'ধর্ষণকে ঘিরে, ক্রমশঃই ভোঁতা হয়ে যাওয়া অনুভূতির পরিপাটি পুরুষদের নির্বাক মৌন ভূমিকার বাংলাদেশকে দেখতে যেয়ে? ও কি বলতে চেয়েছিলো, এভাবে রূপারা সব হারিয়ে গেলে তোমাদের পৃথিবী কি ভীষণ সুখী এক পৃথিবীই না হবে!

বাঁচো তাহলে তুমুল হয়ে, নাচো তবে তোমাদের পুরুষত্ব নিয়ে!!!

নাদেরা সুলতানা নদী'র ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত