ত্বক ও চুলের যত্নে চা-কফি
প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৫:৩৪ | আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৭, ১৭:২৫
সকালে এক কাপ গরম চা কিংবা এক মগ গরম কফি আমাদের শরীরকে চাঙ্গা করে দেয়। দিনের শুরুতে এই এনার্জি পানীয় আমাদের কাজের শক্তি যোগায়। শুধু সকালেই কেন? দিনের যে কোনও সময়েই আসলে চা-কফি চলতে পারে।
কিন্তু চা কিংবা কফি কি শুধমাত্র পানীয় হিসেবেই ব্যবহার হয়? না। চুল এবং ত্বকের যত্নেও চা-কফি ব্যবহার করা হয়। তবে শুধু ব্যবহার করা হয় বললে ভুল হবে, চা-কফি আমাদের ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে।
চা-কফি ব্যবহার করে কীভাবে চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানো যায় এবার তা জেনে নিন।
হয়তো আমরা অনেকেই খেয়াল করে দেখিনি যে, যে সমস্ত প্রসাধনী দ্রব্য ডার্ক সার্কল রিমুভ করতে ব্যবহার করা হয়, সেই সমস্ত দ্রব্যে কফি থাকে। কফি শুধু আমাদের চোখের নিচের কালি দূর করতেই সাহায্য করে না, চোখের নিচে রক্ত জমাট বাধতেও দেয় না। এ তো গেল চোখের কথা। ত্বককে সুস্থ, সুন্দর, টানটান রাখতেও কফি সাহায্য করে। কফি ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
কফিতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উপাদান রয়েছে। যা চুলকে ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এবং চুলের ভাঙল রোধ করে। এর পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিও ঘটায় কফি। হেয়ার প্যাকেও কফি ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন বিউটি পার্লারেও হেনা কিংবা অন্যান্য প্রোডাক্টের সঙ্গে কফি ব্যবহার করা হয়। চুলে কফি ব্যবহার করলে চুলের জেল্লা বাড়ে।
গ্রিন টি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর পাশাপাশি ত্বককে ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে। চা আমাদের ত্বকের মরা কোষগুলিকে পুনরুজ্জীবিত করা, ত্বকে সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির হাত থেকে রক্ষা, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। স্কিন টোনার হিসেবেও চা ব্যবহার করা হয়। ফেস মাক্স হিসেবে যদি চা ব্যবহার করেন, তাহলে তা আপনার ত্বকের অবাঞ্ছিত টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে।
চুলের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে চা। হেনা করার সময়ে আমরা প্যাকে চা ব্যবহার করি। গ্রিন টি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। চা-এ ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং প্যান্থেনল রয়েছে। যা চুলের বৃদ্ধি এবং চুলকে আরও মোলায়েম করতে সাহায্য করে। এজন্য কিছুটা জলে চা পাতা ফোটান। তারপর সেটাকে ঠান্ডা করুন এবং চা-এর পাতা ছেঁকে নিন। এবার সেই জলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। শ্যাম্পুর পরে চুলে ব্যবহার করুন।