সুরক্ষিত থাকুক আপনার ঘর

প্রকাশ : ২৬ মে ২০১৬, ০২:৪৮

জাগরণীয়া ডেস্ক

ঘরদোর সুরক্ষিত রাখার ১২টি টিপস দেয়া হল আজ।

১. আসবাবপত্রের ময়লা ধুলা প্রতিদিন ঝাঁড় পোছ করে পরিষ্কার করে রাখুন।

২. প্রতিদিনকার ময়লা কাপড়-চোপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে না রেখে একটা ঝুড়িতে জমা করুন। ধোয়ার পর ইস্ত্রি করে তুলে রাখুন জায়গা মতো।

৩. চাদর, বালিশের কভার, সোফা কভার সপ্তাহে একবার অবশ্যই বদলাবেন। প্রত্যেক সপ্তাহে অথবা পনেরো দিন অন্তর ঘরের পাখা পরিষ্কার করবেন।

৪. দরজা, জানালা, জানালার কাঁচ, শিক, দরজার হাতল নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

৫. মোজাইক করা মেঝে মোছার সময় পানিতে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল ঢেলে মুছলে মেঝে চকচক করবে।

৬. মেঝেতে টাইলস থাকলে অল্প ব্লিচিং পাউডার দিয়ে নাইলন ব্রাশ দিয়ে রগড়ালে মেঝে পরিষ্কার হবে। এবার পানিতে জীবাণুনাশক মিশিয়ে শুকনো করে মেঝে মুছে নিন।

৭. গরম পানিতে একটা লেবু ফেলে দিয়ে সেই মিশ্রণ দিয়ে কাঁচ অথবা ছুরি চামচ পরিষ্কার করলে চকচকে হয়ে উঠবে।

৮. জামায় কাদা লাগলে শুকাতে দিন। ডিটারজেন্ট মেশানো পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৯. বাড়িতে কারো অসুখ হলে বিশেষত সংক্রামক অসুখ হলে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। রোগীকে আলাদা ঘরে, এমনকি প্রয়োজনে মশারির ভেতর রাখতে হবে। রোগীর ঘর খোলামেলা হওয়া বাঞ্চনীয়। রোগীর ঘরের দরজা জানালা, মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং জীবাণুনাশক দ্বারা মুছে দিতে হবে।

১০. রোগীর কাপড়-চোপড় আলাদা রাখতে হবে। ডিটারজেন্ট পানিতে সিদ্ধ করে কেঁচে কড়া রোদে শুকাতে হবে।

১১. নিজের পরিধেয় কাপড়-চোপড় পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অন্যের পরিধেয় কাপড় না ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে না। চিরুনি, চুলের ব্রাশ, তোয়ালে একাধিক জন ব্যবহার করলে খুশকী, জীবাণু ও চর্মরোগ সংক্রমিত হতে পারে।

১২. ঋতুস্রাবের সময় মহিলাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিশেষ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ। এ সময় অন্যান্য কাপড় চোপড় কেঁচে জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে নিবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত