বিদ্যুৎ বিল কমানোর কিছু কৌশল

প্রতি মাসেই বিদ্যুৎ বিলের উঠানামার সাথে সাথে মাসের বাজেটেও টান পড়তে পারে। কিছু সহজ কৌশল মনে রাখলে সহজেই বিদ্যুৎ বিলকেও ভূতুড়ে না করে, করে তুলতে পারেন সাশ্রয়ী। বিলের অঙ্ক কমানোর কিছু সহজ কৌশল জেনে নেয়া যাক-

১) আলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন এলইডি। এসব আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।আলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন এলইডি। এসব আলোয় ফিলামেন্টের তুলনায় সার্কিট ব্যবহার হওয়ায় বিদ্যুতের খরচ কমে।

২) ঘন ঘন এসি চালু ও বন্ধ না করে একটানা চালিয়ে কিছুক্ষণ পর বন্ধ করে দিন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হবে।

৩) এসির তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রির নীচে নামাবেন না।ইনভার্টার এসি কিনতে পারলে সবচেয়ে ভালো, সেটি না হলে এনার্জি সেভিং মোড অন করে রাখুন।

৪) ফ্রিজের দিনে এক ঘণ্টা করে বন্ধ রাখুন ফ্রিজ। যন্ত্রও বিশ্রাম পাবে, বিদ্যুৎও বাঁচবে। ফ্রিজের ভেতর ঠান্ডা থাকায় এই এক ঘণ্টায় খাবার-দাবার নষ্ট হওয়ার ভয় নেই। খুব গরম খাবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এতে খাবার ঠান্ডা করার জন্য ফ্রিজ অতিরিক্ত ইউনিট খরচ করে। খাবার ফ্রিজে রাখার সময় অবশ্যই ঢেকে রাখবেন। নইলে খাবারের উপরের আর্দ্রতা টেনে নেওয়ায় বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে।

৫) চার্জার থেকে মোবাইল খোলার পর অবশ্যই সুইচ বন্ধ করুন। এসির ক্ষেত্রেও রিমোট দিয়ে বন্ধ করার পর সুইচ বন্ধ করি না অনেক সময়। এতেও কিছুটা অতিরিক্ত ইউনিট পোড়ে।

৬) যে কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্র কেনার সময় স্টার রেটিং দেখে কিনুন। কোন যন্ত্রের স্টার রেটিং বেশি হলে তার ইউনিট বাঁচানোর ক্ষমতাও ততোধিক।

৭) সোলার লাইটের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে নানা জায়গায়। সারাজীবনের বিদ্যুৎ বাঁচাতে এককালীন কিছু খরচ করে এই সোলার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন।

৮) দশ-পনেরো বছরের পুরনো যন্ত্র বা তার পাল্টিয়ে আধুনিক ও কম ইউনিট খরচের যন্ত্র ও তার কিনুন। নিয়ম করে সব যন্ত্রেরই সার্ভিসিং করান সময় মতো। এতে যন্ত্র ভাল থাকবে ও বিদ্যুৎ কম টানবে।