এসি কেনার পূর্বে যা যা দেখে নিবেন
প্রকাশ | ০৩ মে ২০১৮, ২১:৫৬
গরম পড়লেই বাজারে এসি-র বিক্রি অনেকটা বেড়ে যায়। যারা এসি কিনবেন বলে ঠিক করেছেন বা কিনতে যাচ্ছেন তারা একবার এসব টিপস চোখ বুলিয়ে নিতে পারেন।
স্প্লিট না উইনডো? তুলনামূলকভাবে উইনডোর থেকে অনেকটাই এগিয়ে স্প্লিট এসি। দেখতে অনেক বেশি স্মার্ট। উইনডো এসি-র ক্ষেত্রে পুরো সেটআপ-টাই এক সঙ্গে থাকে। স্প্লিট এসি-র ক্ষেত্রে অনেকটা অংশ মূল এসি-র থেকে দূরে থাকে। ফলে উইনডো এসিতে শব্দ হয় কিন্তু স্প্লিট এসিতে কোনও শব্দ হয় না।
এগুলো ছাড়াও আর একটা সুবিধা হল জানলা। ঘরে উইনডো এসি বসালে একটা জানলা দখল হয়ে যায়। আলো-বাতাসও কমে যায়। কিন্তু স্প্লিটের ক্ষেত্রে তা হয় না। তবে সুবিধা যেখানে বেশি দাম তো একটু বেশি হবেই। দেখা গিয়েছে উইনডোর থেকে স্প্লিট-এর বাজারদর নূন্যতম ৬ হাজার টাকার মতো বেশি হয়ে থাকে।
আপনি কি ইনভার্টার এসি কিনতে চান? ইনভার্টার আর ইনভার্টার এসি-র মধ্যে গুলিয়ে ফেলবেন না। নামের আগে ইনভার্টার আছে তাই বিদ্যুৎ চলে গেলেও এসি চলবে, এমনটা ভাবলে ভুল করছেন। সাধারণ এবং ইনভার্টার এসি-র মূল তফাৎ এটা বিদ্যুতের সাশ্রয় করে। এসির কম্প্রেসরকে খুব ধীর গতিতে সক্রিয় রেখে বিদ্যুৎ অপচয় কমানোই মূল লক্ষ্য ইনভার্টার এসি-র। ফলে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল অনেক কম আসে। সাধারণ এসি-র থেকে অনেক বেশি সময় ঘর ঠান্ডা রাখে।
এসি-র প্রসঙ্গ এলেই সঙ্গে টনের হিসাবও চলে আসে। প্রতি ঘণ্টায় যে পরিমাণ তাপ এসি বার করতে পারে, এটা তার পরিমাণ। বাজারে ১.৫ টন, ২ টন এসি রয়েছে। তবে নিজের মতো কিনে নেবেন না। দোকানে প্রতিনিধিকে ঘরের মাপ অবশ্যই জানাবেন। আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি লাগানো উচিত সঠিকটা ওই প্রতিনিধিই আপনাকে জানাবেন।
এসি-র গায়ে স্টিকারে বেশ কিছু স্টার রেটিং করা রয়েছে। ১ থেকে ৫ পর্যন্ত রেটিং-ই থাকে সাধারণত। একে বিইই বা ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বলা হয়। আপনার এসি কতটা বিদ্যুৎ খরচ করে, এটা তারই রেটিং।