প্রশ্নপত্র ফাঁস: সকালের পরীক্ষা কেন বাতিল হবে না?
প্রকাশ | ২০ মে ২০১৭, ১৬:৩৯
পরীক্ষা শুরুর আগে গণহারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পরেও অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের সকালের নিয়োগের বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা বাতিল না করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ।
এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিকেলের পরীক্ষা বাতিল করা হলে সকালের পরীক্ষা কেন বাতিল করা হবে না?
১৯ মে (শুক্রবার) অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগের বাছাইপর্বের (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা ছিল। ২৬২টি পদের বিপরীতে দুই লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী থাকায় সকাল বিকেল দুই ভাগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সকাল ভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আরেক ভাগের পরীক্ষা ছিল বিকেল সাড়ে তিনটায়। কর্তৃপক্ষ প্রথমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ অস্বীকার করে। পরে বেলা একটায় সিদ্ধান্ত জানায়, বিকেলের পরীক্ষা আর হবে না।
১৯ মে (শুক্রবার) সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে পরীক্ষার্থীরা আগের দিন ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) ভোর থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে হাতে লেখা ও ছাপা প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ করেন।
বেলা ১১টায় সকাল ভাগের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরীক্ষার্থীরা জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মূল পরীক্ষার হুবহু মিল পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে বিকেলের প্রশ্নপত্র আবার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তখন ওই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সকালের পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা না আসায় ক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা।