প্রতিরোধের মার্চ
১৯৭১ এর উত্তাল ২০ মার্চ
প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০১৭, ১৫:৫১
এ দিন রাজধানীর সব সরকারি-বেসরকারি বাসভবন ও যানবাহনে কালো পতাকা উড়তে থাকে। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুযায়ী অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তি ও সুশৃঙ্খলভাবে পালিত হচ্ছে- একজন শুধু একজন নেতা তথা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে সমগ্র দেশ চলছে- পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম ঘটনা এই প্রথম।
এ দিন সকাল ১০টায় ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ৪র্থ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বমিডিয়া এবং সমগ্র বাংলা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে- আলোচনার ফলাফল জানার জন্য। আমরা অপেক্ষা করছি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নং রোডের বাসভবনে। প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু বের হয়ে ধানমন্ডির বাসভবনে ফিরে এলে সংগ্রামী জনতা ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানায়।
দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমাদের আলোচনা এগিয়ে চলছে, কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমার বলার নাই। সময় আসলে অবশ্যই আমি বিস্তারিত বলব।’
বঙ্গবন্ধুর ৩২ নং রোডের বাড়িতে আসা শোভাযাত্রা সহকারে আসা বিক্ষোভ মিছিলকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের মুক্তির লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে জনগণ তাদের আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাবেন। তাদের কাছে এই আমার আবেদন। নাশকতামূলক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের দুরভিসন্ধিমূলক ও উস্কানির বিরুদ্ধে আমি হুশিয়ারি উচ্চারণ করছি।” আগত প্রতিটি মিছিলকারীদের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে অগ্নিঝরা বক্তব্য প্রদান করছিলেন। ২০ মার্চ ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-এ টিক্কা খানের সঙ্গে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর গোপন বৈঠক এবং বৈঠকে বাঙালি নিধনের পরিকল্পনা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অনুমোদন করা হয়।