৪ মার্চ পিরোজপুরে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা
প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০১৭, ১২:৪৮
আজ ৪ মার্চ। একাত্তরের এদিনে পিরোজপুরে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হয়।
সেই সময়ের মহাকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ওমর ফারুক এদিন ছাত্রলীগের উদ্যোগে শহরের টাউন ক্লাব ময়দানে এক সমাবেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। পরবর্তী সময়ে এ অপরাধে তার মাথায় লোহার রড ঢুকিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে বর্বর পাক বাহিনী।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘পিরোজপুরের ইতিহাস’গ্রন্থে ওমর ফারুকের হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা রয়েছে।
শহীদ ওমর ফারুকের ছোট ভাই লুৎফর রহমান বাবুল এ ব্যাপারে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর তাদের কয়েকজন আত্মীয় বরিশালের ১৪ গোডাউন ঘাটে মৃতদেহের সন্ধানে গেলে সেখানের খাদ্য গুদামের কয়েকজন কুলি তাদের জানান যে, ওমর ফারুকের মাথায় লোহার রড ঢুকিয়ে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় তাকে হত্যা করা হয়।
২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গাঢ় সবুজের জমিনের ওপর টকটকে লাল সূর্যের মধ্যে সোনার বাংলার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশের সোনালী মানচিত্র অঙ্কিত একটি পতাকা নিয়ে ৪ মার্চ সকালে পিরোজপুরে আসেন ওমর ফারুক।
এর আগে ছাত্রলীগের উদ্যোগে শহরের টাউন ক্লাব ময়দানে ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে এক সমাবেশে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করা হবে জানিয়ে সকলকে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করে মাইকে প্রচার করা হয়। সকাল ১১টার মধ্যে মাঠটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক জ্বালাময়ী বক্তব্য শেষে পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময় জয়বাংলা স্লোগানে সমগ্র এলাকা মূখরিত হয়ে ওঠে।
সে সময়ের ছাত্রলীগের নেতা আব্দুস সালাম সিকদার পতাকা উত্তোলনের সময়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, হাজারো ছাত্র-জনতা জয় বাংলা- জয় বঙ্গবন্ধু, বীর বাঙালি অস্ত্র ধর- বাংলাদেশকে স্বাধীন কর, তোমার আমার ঠিকানা- পদ্মা মেঘনা যমুনা-গগনবিদারী স্লোগানে সমগ্র এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে। এরপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শহরের সরকারি অফিস-আদালতে পাকিস্তানী পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে দেয়।