আজ কুমারখালি মুক্ত দিবস

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:২১ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:৩১

অনলাইন ডেস্ক

আজ ৯ ডিসেম্বর। একাত্তরের এইদিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানা হানাদার মুক্ত হয়। ৭ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা সকালে শহরে প্রবেশ করে এবং কুন্ডুপাড়ায় রাজাকারদের ক্যাম্প আক্রমণ করে।

রাজাকার কমান্ডার ফিরোজ বাহিনীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এ যুদ্ধের খবর জেলা শহর কুষ্টিয়ায় অবস্থানরত পাক-সেনাদের কাছে চলে যায়। তারা দ্রুত কুমারখালিতে এসে ব্রাশ ফায়ারের মাধ্যমে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মুক্তিযোদ্ধারা সংখ্যায় কম এবং অপর্যাপ্ত অস্ত্র থাকায় তারা স্থান ত্যাগ করে। এ সময় পাকবাহিনী ও রাজাকাররা কুমারখালি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হত্যাযজ্ঞ ও শহরের বিভিন্ন এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট শুরু করে।

৭ ডিসেম্বরের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা তোসাদ্দেক হোসেন, ননী মিয়া শহীদ হন। এ ছাড়া তাদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হন সামসুজ্জামান স্বপন, সাইফুদ্দিন বিশ্বাস, আব্দুল আজিজ মোল্লা, শাহাদত আলি, কাঞ্চন কুন্ডু, আবু বক্কর সিদ্দিক, আহমেদ আলি বিশ্বাস, আব্দুল গনি খাঁ, সামসুদ্দিন খাঁ, আব্দুল মজিদ ও আশুতোষ বিশ্বাস মঙ্গল।

এরপর ৯ ডিসেম্বর পুনরায় মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদেরকে সংগঠিত করে শহরের চারপাশ ঘিরে পাকবাহিনীর ক্যাম্প (বর্তমানে কুমারখালি উপজেলা পরিষদ) আক্রমণ করে। দীর্ঘসময় যুদ্ধের পর পাক বাহিনী টিকতে না পেরে পালিয়ে কুষ্টিয়ার পথে রওনা হয়। পাকবাহিনী বহনকারী ট্রেন চড়াইকোল হাতিসাঁকো এলাকায় এলে বিস্ফোরক দিয়ে রেল লাইন উড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এরপর পাকবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। সেদিন রাজাকার কমান্ডার খুশি নিহত হয়। শহর হানাদার মুক্ত হওয়ার পর সর্বস্তরের জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধারা রাস্তায় নেমে আনন্দ মিছিল বের করে।

সেদিন থেকেই ৯ ডিসেম্বর কুমারখালি মুক্ত দিবস পালন করা হয়।