বেগম রোকেয়া দিবস আজ

প্রকাশ | ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬, ১২:৪৭ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, ২২:১৬

অনলাইন ডেস্ক

আজ ৯ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলার নারী জাগরণের পথিকৃত বেগম রোকেয়ার ১৩৬তম জন্ম ও ৮৪তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশে প্রতিবছর এই দিনটিকে বেগম রোকেয়া দিবস হিসেবে পালন  করে আসছে। 

এই মহীয়সী নারী ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও নারী জাগরণে তার অসামান্য ভূমিকার কারণে তিনি মহীয়সী নারী হিসেবে অবতীর্ণ হন।

তিনি উনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর এই মহীয়সী নারী কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। 

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, নারী-পুরুষের বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় প্রেরণা জোগাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন নারী শিক্ষা ও নারী জাগরণের অগ্রদূত। ঊনবিংশ শতাব্দীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন রক্ষণশীল সমাজের শৃঙ্খল ভেঙে বেগম রোকেয়া নারীজাতির মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করেন। 

অপরদিকে, প্রতিবছর নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হলেও জন্মস্থান রংপুরে এখনো অবহেলায় পড়ে আছে তার স্মৃতিগুলো। ১২ বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে বেগম রোকেয়া স্মৃতি কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী আর আদালতের নির্দেশের ৮ মাসেও চালু হয়নি এটি। সংস্কার হচ্ছে না বসতভিটা, তাই এসব নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে রংপুরবাসীর মনে।

নারী জাগরনের অগ্রদুত বেগম রোকেয়া জন্মেছিলেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে। পুরো অঞ্চল জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তার অসংখ্য স্মৃতি।

বেগম রোকেয়ার স্মৃতি ধরে রাখা, সুবিধা বঞ্চিত নারীদের পুনর্বাসন এবং তার জীবন আর গ্রন্থ নিয়ে গবেষনার জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রাবন্দে নির্মান করেন একটি স্মৃতি কেন্দ্র। ২০০১ সালে এর উদ্বোধন করা হয়। পরবর্তী সরকারের আমলে ২০০৪ সালে বন্ধ করে দেয়া হয় স্মৃতি কেন্দ্রের কার্যক্রম।

এনিয়ে হ্ইাকোর্টে রীট আবেদন করা হলে, ৮ মাস আগে কেন্দ্রটি বাংলা একাডেমির তত্ত্বাবধানে চালু এবং কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের নির্দেশ দেন আদালত। এতে সম্মতি জানান প্রধানমন্ত্রীও। কিন্তু এখনো নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটি কবে চালু হবে তা জানাতে পারেননি খোদ জেলা প্রশাসকও। তাই অবিলম্বে স্মৃতি কেন্দ্রটি চালু এবং বেগম রোকেয়ার বসত ভিটা সংরক্ষনের দাবি রংপুরবাসীর।