আজ বরিশাল মুক্ত দিবস

আজ ৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে আজকের এইদিনে পাকিস্তানি হানাদার এবং এ দেশীয় স্বাধীনতা বিরোধীচক্রের কবল থেকে বরিশাল মুক্ত হয়েছিলো।

‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিয়ে সেদিন মুক্তিযোদ্ধারা বরিশালের আকাশ-বাতাস মুখরিত করেছিলো। বিজয়ের আনন্দে আত্মহারা মুক্তিকামী মানুষেরা রাস্তায় নেমে আসে।  তাদের সবার মুখে ছিল বিজয়ের হাসি।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনবাজি রেখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে মোকাবেলা করা কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাত্তরের ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল ছিল শত্রুমুক্ত।

২৬ এপ্রিল পাকিস্তানি বাহিনী আকাশ পথে বরিশাল ও পটুয়াখালীতে হামলা চালায়। দ্বিতীয় দফা হামলা চালায় ২৭ এপ্রিল জল, স্থল ও আকাশ পথে।

বরিশাল শত্রুকবলিত হওয়ার আগেই সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো স্বাধীন বাংলা সরকারের অস্থায়ী সচিবালয়। আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সবাইকে নিয়ে এ সচিবালয় গঠিত হয়। ওই ঘাঁটি থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে দেশের অভ্যন্তরে এবং ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠানোর কাজও হতো এ সচিবালয় থেকে।

৮ডিসেম্বর দুপুরে পাকিস্তানি সেনা অফিসাররা গানবোট, লঞ্চ, স্টিমারে করে বরিশাল থেকে গোপনে পালিয়ে যায়। তবে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের এই গোপনে পালানোর খবর জানাজানি হয়ে যায়। ভারতীয় বিমান বাহিনী দুপুর ২টায় বরিশালে হামলা চালায়।

পাকিস্তানি দখলদারদের পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে বিকেল ৩টায় বরিশালের অদূরে অবস্থানরত সুলতান মাস্টার ও আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল শহরে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেন। মুক্ত হয় বরিশাল।