ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
প্রকাশ | ০৬ জুন ২০১৬, ১৮:৪৮
১৯৬৬ সালের ৭ জুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ৬ দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলনের সূচনা হয়। এই দিনে আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে টঙ্গী, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও ইপিআর’র গুলিতে মনু মিয়া, শফিক ও শামসুল হকসহ ১০ জন বাঙ্গালী শহীদ হন। এরপর থেকেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আপোষহীন সংগ্রামের ধারায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যায় পরাধীন বাঙালি জাতি।
ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে।
সোমবার (০৬ জুন) এ দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ৭ জুন এক অবিস্মরণীয় দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফা আন্দোলন ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়।
তিনি আরোও বলেন, গত সাড়ে ৭ বছরে সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে। “আমরা দেশকে আরো এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে ৭ জুনের শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও সংগ্রামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার অক্ষুণ্ন রাখতে তার সরকার বদ্ধপরিকর।