রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ছয় বছর আজ

প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:২০

জাগরণীয়া ডেস্ক

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা রানা প্লাজা ধসের ছয় বছর আজ। 

২০১৩ সালের এইদিন সকালে ধসে পড়ে সাভারের ৯ তলা ভবন রানা প্লাজা। সরকারী হিসেবে ১১শ’ ৩৮ জন এবং বেসরকারী হিসেবে ১১শ’ ৭৪ জন নিহত হয় ওই ঘটনায়। আহত হয় কয়েক হাজার শ্রমিক। উদ্ধার অভিযান চলে ২১ দিন ধরে। সনাক্ত করা যায়নি অনেককে।

ওই ঘটনায় ১৪টি মামলা করা হলেও দায়ীদের কারো এখনও শাস্তি হয়নি। ২০১৬ সালে ভবনের মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। শেষ হয়নি মামলার বিচার কাজ। বর্তমানে জামিনে রয়েছে ৩২ আসামি। পলাতক রয়েছে ৬জন আর মারা গেছে দুই আসামি।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র এক রিপোর্টে বলা হয়, দুর্ঘটনা পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ একসঙ্গে না দেয়ায় (যারা পেয়েছেন) এসব শ্রমিকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়নি। প্রায় ৫১ শতাংশ শ্রমিক এখনও বেকার।

এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে গড়া হাইকোর্ট বেঞ্চ ভেঙে যাওয়ায় যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন হতাহত ও তাদের স্বজনেরা। তবে ওই দুর্ঘটনার পর ছয় বছরে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত উদ্যোগে কারখানা নিরাপত্তা, তদারকি, শ্রমিকের মজুরি, সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার অগ্রগতি হয়েছে।

উল্লেখ্য, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর চ্যালেঞ্জের মুখে পরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক চাকা পোষাক শিল্প। পোশাকশিল্পের কর্মপরিবেশ উন্নতির জন্য ক্রেতারা নানা শর্ত আরোপ করে, জিএসপি সুবিধা বাতিল করে। এরপর, শ্রম আইনের সংস্কার হয়েছে, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে কাজও চলমান।

তবে রানা প্লাজার ট্র্যাজেডির পর  প্রকৃত ক্ষতিপূরণ বলতে যা বোঝায় তা পাননি, বেশীরভাগ ক্ষতিগ্রস্তরা। এক মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তির অকাল মৃত্যুতে অনেক পরিবার এখনো দিশেহারা। তবে ক্ষতিগ্রস্থরা সকলেই চান ভয়াবহ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে বিচার হোক।  

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। এর মধ্যে রয়েছে কবর জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত