ডিমের পুষ্টি উপাদান
প্রকাশ | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৯:২৪
কিছু পুষ্টিবিজ্ঞানী মনে করেন ডিম স্বাস্থের জন্য ভালো আবার কিছু পুষ্টিবিজ্ঞানী মনে করেন ডিম স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।
আমেরিকান হার্ট সংস্থা এক গবেষণায় বলেছেন যে, একজন মানুষের শরীরে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন।
একটি বড় আকৃতির ডিমে ১৮৬ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল আছে। এবং ছোট আকৃতির একটি ডিমে ১৪১ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল আছে। বর্তমান সময়ে সব মিলিয়ে যে পরিমাণ কোলেস্টেরল দরকার অধিকাংশ মানুষই তার থেকে বেশি খাচ্ছে। ২০১৩ সালের আর এক গবেষণায় বলেছেন, আমরা যে পরিমাণ ডিম খাই তাতে আমাদের হৃদরোগের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু তাই বলে এই নয় যে আপনি ডিম খাবেন না। ডিম অতি পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। এতে আছে উচ্চ প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাস। ভিটামিন বি এর সব গুলো উপাদানই ডিমের মধ্যে আছে। আর ভিটামিন বি শরীরের জন্য খুবই দরকারি। ডিমে আছে প্রচুর পরিমানে খনিজ। আছে ভিটামিন ডি হাড়কে শক্তিশালী করে। তাই অনেক পুষ্টিবিজ্ঞানী মনে করেন ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকারি।
মানুষের দেহ ১১ ধরনের প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড বানাতে পারে। এটি জীবনধারণের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখতে পারে। মানুষের দেহে ২০ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রয়োজন হয়। দেহ তার মধ্যে ১১ ধরনের বানাতে পারলেও বাকি ৯ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিডের সহজ উপায় হলো ডিম খাওয়া।
ডিম মস্তিষ্কের প্রচুর উন্নতি ঘটায়। এতে রয়েছে মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যার নাম কোলিন। গবেষণায় দেখা গেছে, কোলিনের অভাবে মস্তিষ্কের নানা সমস্যা দেখা দেয়। বহু মানুষই ডিম না খাওয়ায় প্রয়োজনীয় এ উপাদানটির অভাবে ভোগেন।
অনেক পুষ্টিবিজ্ঞানী বলেছেন যে, ডিমে খুব কম পরিমাণ ক্যালরি আছে। একটি বড় ডিমে মাত্র ৭১ কিলোক্যালরি শক্তি আছে। ক্যালরির দিক থেকে অন্য সব খাবার থেকে ডিম অনেক উপকারি। কারণ ডিমে কম পরিমানে ফ্যাট আছে। ডিম খেলে দেহের ওজন কমে একথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না। কিন্তু বিভিন্ন গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে পরিমিত মাত্রায় ডিম খেলে দেহের ওজন কমানো সম্ভব। মূলত ডিমে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকায় তা বাড়তি খাবার খাওয়ার চাহিদা কমিয়ে দেয়। এতে ক্ষুধা কমে যায় এবং দেহের ওজনও কমে যায়।
তাই গবেষকরা ডিম খাবার ব্যাপারেই মত দিয়েছেন।