কেন হয় অটিজম?
প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০১৭, ০১:১৪
অটিজমে আক্রান্ত হবার এখন পর্যন্ত নির্দিষ্ট কোন কারন খুঁজে পাওয়া যায় নি। বলা হয়ে থাকে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৪ গুন বেশি থাকে। পৃথিবীর যে কোন বর্ণ গোত্রের শিশু অটিস্টিক হতে পারে। তারপর ও অটিজমের লক্ষণ ও চিহ্ন বিশ্লেষণ করে অটিজমের কিছু কারন নির্দেশ করা হয়েছে।
“Mayo clinic” ইন্টারনেট এ একটি প্রতিবেদনে বংশগতি ও পরিবেশ কেই অটিজমের জন্য দায়ী করেছেন। এছারাও কয়েকটি “risk factor” উল্লেখ করেছন। তা হল-
Your child's sex: মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা ৪ গুন বেশি থাকে।
Family history: পরিবারে কারও অটিজম থাকলে শিশুর অটিজমে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
Other disorder: শিশুর সুস্থতার ধরণের জন্য অটিজম হতে পারে। যেমনঃ fragile X syndrome,যক্ষ্মার জন্য ছাড়াও বিভিন্ন নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, আরও কিছু সমস্যা যার জন্য হাতের গঠন,মাথার গঠন, চোখের গঠন সুগঠিত হয় না।
Extremely preterm babies: গর্ভধারণের ২৬ সপ্তাহ আগে জন্মগ্রহনের ফলে শিশু অটিস্টিক হতে পারে।
Parents' ages: বেশি বয়সে সন্তান ধারনে অটিজমের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এছাড়াও NHS choices Your health, your choices এর অনলাইন প্রকাশনায় বলা হয়েছে Factors thought to increase the risk of developing ASD, known as ‘risk factors’, can usually be divided into five main categories:
Genetic factors – certain genetic mutations may make a child more likely to develop ASD.
Environmental factors – during pregnancy, a child may be exposed to certain environmental factors that could increase the risk of developing ASD.
Psychological factors – people with ASD may think in certain ways that contribute towards their symptoms.
Neurological factors – specific problems with the development of the brain and nervous system could contribute to the symptoms of ASD.
Other health conditions – certain health conditions associated with higher rates of ASD.
Fragile X syndrome – an uncommon genetic condition that usually causes certain facial and bodily characteristics, such as a long face, large ears and flexible joints.
Tuberous sclerosis – a rare genetic condition that causes multiple non-cancerous tumors to grow throughout the body, including the brain.
Rett syndrome – a rare genetic condition that mostly affects girls. It causes symptoms of ASDs, and difficulties with physical movement and development.
Neurofibromatosis – a number of genetic conditions that cause tumors to grow along your nerves. The main types are neurofibromatosis type 1 and neurofibromatosis type 2.
Muscular dystrophy – a group of inherited genetic conditions that gradually cause the muscles to weaken, leading to an increasing level of physical disability.
Down’s syndrome – a genetic condition that typically causes some level of learning disability and a characteristic range of physical features.
Cerebral palsy – conditions that affect the brain and nervous system, causing problems with a child's movement and coordination.
Infantile spasms – a type of epilepsy that develops while a child is still very young (usually before they are one year old).
Intellectual disability – about half of those diagnosed with autism have an IQ below 70 (the average IQ is 100).
অটিজম কেন হয় তার সঠিক কারণ আজ পর্যন্ত উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। বিজ্ঞানী এবং ডাক্তারদের ধারণা ক্রোমোজম নম্বর ৭য়-এর অস্বাভাবিকতার সঙ্গে অটিজমের সম্পর্ক আছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনেবিকাশের প্রতিবন্ধকতার কারণ, মস্তিস্কের অস্বাভাবিক জৈব রাসায়নিক কার্যকলাপ, মস্তিস্কের অস্বাভাবিক গঠন, বংশগতির অস্বাভাবিকতা প্রভৃতির কথা বলে থাকেন। গর্ভকালীন সময়ে মায়ের সুষ্ঠ পরিচর্চার অভাবেও অটিজম হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী প্রতি দেড়শ শিশুর মধ্যে একটি শিশু অটিজমে ভুগে থাকে। কিন্তু অটিজমের সুনির্দিষ্ট কারণ আজও জানা যায়নি। সার্বিক ভাবে অটিজমের কারণগুলো নিম্নরূপ-
১. মস্তিষ্কের কোনোরূপ গঠনগত ক্ষতি
২. অস্বাভাবিক বৈদ্যুতিক ক্রিয়া
৩. শরীরে নিউরো- কেমিক্যাল ক্রিয়ার অসাম্য
৪. শিশুর জন্মপূর্ব বা জন্মের পরবর্তীকালের কোনো সংক্রমন, ক্রোমোজম্যাত অস্তাভাবিকতা এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা। কারণ মানুষের মস্তিষ্ক একটি ভীষণ দুর্বোধ্য ও জটিল বস্তু।
তবে অটিজমের কিছু রিস্ক ফ্যাক্টর রয়েছে। যেমন-
বংশগতি (৯০%)। অটিজমের একটি চিহ্নিত বিষয় হলো বংশগতি- পরিবারের অথবা নিকটাত্মীয়ের মধ্যে কেউ অটিজমে ভুগে থাকলে শিশু অটিজমে ভুগতে পারে।
শিশুর মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক গঠন।
শিশুর শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব।
অপুষ্টি (ভিটামিন ডি, বি১২-এর অভাব)।
গর্ভাসস্থার প্রথম তিন মাসে মা’র নানাবিধ ক্ষতিকর ঔষধ সেবন।
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে মা যদি রুবেলা আক্রান্ত হন।
গর্ভাবস্থায় মায়ের টেরাটোজেনিক ঔষধ সেবন (থেলিডোমাইড)।
গর্ভাবস্থায় মা যদি ধূমপান করেন বা মানসিক ব্যাধি সিজোপ্রেনিয়ায় ভোগেন।
মা যদি অতিরিক্ত কীটনাশকের সংস্পর্শে আসেন।
গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ফলিক এসিড সেবন।
শিশুর জন্ম-ওজন কম হলে, শিশু জন্মের পর অক্সিজেনের অভাবে নীল হয়ে গেলে অথবা শিশু পূর্ণগর্ভ হয়ে না জন্মালে।
জন্মের পর শিশু ভাইরাস আক্রান্ত হলে (হারপিস ভাইরাস)।
পারদ, লেড বা সীসা পয়জনিং: শিশুর রক্তে সীসার পরিমাণ বেড়ে গেলে শিশু অটিজমে ভুগতে পারে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসার মাধ্যমে শিশুর শরীরের সীসার মাত্রা স্বাভাবিক করা গেলে শিশুর আচরণও স্বাভাবিক হয়ে আসে।
মস্তিষ্কে ক্ষতি: অসুস্থতা বা আঘাতজনিত কারণে শিশুর মস্তিষ্কে ক্ষতি সাধন হলে অটিজম হতে পারে।
পরিপাকতন্ত্রের গোলমাল থেকে অটিজম দেখা দিতে পারে।
গর্ভাবস্থায় মা অতিরিক্ত এলকোহল পান করলে সন্তানের অটিজম হতে পারে।
মৃগী রোগে আক্রান্ত শিশুর অটিজমে ভোগার আশংকা বেশি।
হৃদরোগী শিশুর মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে অটিজম দেখা দিতে পারে।
শিশু মাতৃগর্ভে থাকা কালীন সময় মা কিংবা ভূমিষ্ঠ হবার ছয় মাসের মধ্যে যদি শিশু জার্মান মিজেলস বা সাইটোমেগালো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, তবে শিশুর অটিজমে আক্রান্ত হবার আশষ্কা থাকে।
খাদ্যে এলার্জি: বিশেষত গম, চিনি, গরুর দুধ, ডিম ইত্যাদিতে এলার্জি থেকেও শিশুর মধ্যে অস্বাভাবিক আচরণ দেখা দেয়।
অস্ত্রে ছত্রাক সংক্রমণ বা কৃমির সংক্রমণ।
শরীরে পাচকরসের অভাব।
মস্তিষ্কের উন্নয়ন বা প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হলে অটিজম হয়।
শিশু কালীন টিকা বিশেষ করে এম.এম.আর. টীকা।
জন্মের সময় শিশুর অক্সিজেনের অভাব।
শিশুর কোন কারণে খিঁচুনী হলে।
প্রসবকালীন সময়ে সিন্টসিনন ড্রিপ (অক্সিটোসিন) (ঝুহঃড়পরহড়হ উৎরঢ়) ব্যবহার।
অতিরিক্ত এ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ।