হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে আসছে ভ্যাকসিন
প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৭, ০১:২৬
মানুষের রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা বেশি হলে সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। রক্তে কোরেস্টরেলের মাত্রা কমানোর জন্য কিংবা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকেই ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত ঔষধ সেবন করেন।
কিন্তু ভবিষ্যতে হয়তো প্রতিদিন ঔষধ সেবন করত হবে না। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, তারা এমন একটি টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন যেটি রক্তে কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে। ইতোমধ্যে ইঁদুরের ওপর এর সফল প্রয়োগ হয়েছে।
এখন মানুষের ওপর এর গবেষণা চালানো হচ্ছে। এজন্য ৭২ জন স্বেচ্ছাসেবকের উপর এ টিকা প্রয়োগ করে দেখা হচ্ছে, এটি সত্যিই কাজ করছে কিনা। এটি সফল হলে কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে ঔষধ সেবন করতে হবে না। টিকা দিলেই কোলেস্টরেল কমে আসবে এবং সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে। তবে মানবদেহের জন্য এ টিকা কতটা নিরাপদ এবং কার্যকরি হবে সে বিষয়টি দেখতে আরো কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হবে।
আগামী ছয় বছরের মধ্যে এ টিকা হয়তো বাজারে আসতে পারে। কিন্তু গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এটি বাজারে আসলেও ব্যায়াম পরিহার করা এবং অধিকমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। এ টিকা নিলেও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন করতে হবে। এ টিকা রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল তৈরি হওয়া ঠেকাবে। গবেষকরা ধারণা করছেন, প্রতি বছর একবার এ টিকা নেবার প্রয়োজন হতে পারে।
ইঁদুরের উপর চালানো গবেষণায় দেখা গেছে, এটি একবার প্রয়োগ করার ফলে ১২ মাসে খারাপ কোলেস্টরেলের মাত্রা ৫০ শতাংশ কমেছে। কোলেস্টরেল হচ্ছে চর্বির একটি উপাদান। মানবদেহের শরীরের জন্য এটি প্রয়োজন। কিন্তু এলডিএল কোলেস্টরেল বেশি থাকলে সেটি হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। কোরেস্টরেল কমানোর জন্য বাজারে ঔষধ থাকলে অনেকে সেটি নিয়ম করে সেবন করতে পারেন না। তাছাড়া সবার ক্ষেত্রে সে ঔষধ সমানভাবে কাজ করে না। সেজন্য গবেষকরা আরেকটি বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলেন। সেজন্য এ ভ্যাকসিন বা টিকা আবিষ্কারের চেষ্টায় নেমেছিলেন তারা।
কিন্তু এ টিকার একটি নেতিবাচক দিক থাকতে পারে। এর ফলে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা