চোখের ছানি দূর করবে যেসব খাবার
প্রকাশ | ২২ জুন ২০১৭, ২১:৩৪
যখনই চোখের প্রসঙ্গ আসে তখন আমরা সচেতন হই এবং বিষয়টাকে গুরুত্ব সহকারে নেই। চোখে ছানি পড়া একটি সাধারণ সমস্যা। যেকোনো বয়সেই চোখের ছানির সমস্যা হতে পারে তবে বয়স্কদের এই রোগ বেশি হয়। যখন আপনার চোখে ছানি পড়বে তখন আপনার চারপাশের সবকিছুই ম্লান হয়ে আসবে। আপনি সব কিছুই অস্পষ্ট বা কুয়াশাছন্ন দেখবেন। যদি আপনি প্রায় এমন লক্ষণ এর সম্মুখীন হন তাহলে বুঝতে হবে আপনার চোখে ছানি পড়েছে।
চোখের ছানি ধীর গতিতে বাড়ে। যখন এটা তীব্র ও অসহনীয় আকার ধারণ করে তখন মানুষ এর প্রতিকারের উপায় খুঁজতে থাকে। চোখের ছানি অপারেশন করে ভালো ফল পাওয়া যায়। যদিও অনেকেই জানেন না যে সহজ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও চোখের ছানির সমস্যা ঠিক করা যায়, যা অপারেশন এর হস্তক্ষেপ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।
চোখের ছানি যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থাকে তাহলেই কেবল প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এর প্রতিকার করা সম্ভব। তাই প্রাকৃতিক পদ্ধতি অনুসরণ এর পূর্বে একজন চক্ষু সার্জন এর সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনার সমস্যাটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। আসুন তাহলে জেনে নেয়া যাক চোখের ছানি দূর করার সহজ কিছু উপায়:
রসুন: রসুন এর গুনাগুণ বর্ণনাতীত। ছানি পড়া চোখে রসুন জাদুর ন্যায় কাজ করে। আপনার চোখের লেন্সটি সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে যে রকম পরিষ্কার মনে হবে রসুন ঠিক সেই কাজটি করে থাকে। তাই প্রতিদিন রসুনের ২-৩টি কোয়া খেতে হবে।
কাঁচা সবজি: কাঁচা সবজি পুষ্টিকর, বিশেষ করে ভিটামিন এ এর উৎস যা চোখের স্বাস্থ্যকে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে।তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লেবুর রস ও অলিভ অয়েল মিশ্রিত সালাদ রাখুন। বিভিন্ন রঙের সবজি ছানি সমস্যার জন্য উপকারি।
শাক: মেডিকেল জার্নাল অনুযায়ী শাক বিটা ক্যারোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা চোখের ছানি প্রতিরোধ করে। তাই প্রতিদিন ই শাক খান।
দুধ ও কাজুবাদাম: চোখে ছানি হলে চোখ জ্বালা পোড়া করে এবং লাল হয়ে যায়। বিশুদ্ধ দুধের মধ্যে সারারাত কাজুবাদাম ভিজিয়ে রেখে সেই দুধ যদি চোখের পাতায় লাগানো হয় তাহলে চোখের জ্বালাপোড়া করা এবং লাল হয়ে যাওয়া কমে যায়।
গ্রীন টি: চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় গ্রীন টি চমৎকার কাজ করে। গ্রীন টি তে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে জা চোখকে সজীবতা দান করে।
গমঘাস: হ্যাঁ আপনি ঠিক ই শুনেছেন গমঘাস (গমের কচি চারা) যা আপনার চোখের ছানি দূর করতে সক্ষম।এজন্য আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় গমঘাস এর জুস রাখুন বা সম্পূরক হিসেবে গ্রহণ করুন।
জাম/বেরি জাতীয় ফল: জাম জাতীয় ফল বিশেষ করে বিল বেরি এন্থোসায়ানসাইড সমৃদ্ধ, এর ফ্লাভনয়েড চোখের রেটিনা ও লেন্সকে জারণ এর হাত থেকে রক্ষা করে।
পেঁপে: পেঁপের মধ্যে যে এনজাইম থাকে তা প্রোটিন জাতীয় খাবার হজমে সহায়তা করে।চোখে ছানি আছে এমন অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের প্রোটিন হজমে সমস্যা থাকে। এই প্রোটিন চোখের লেন্স এ যেয়ে জমা হয়ে তীব্র ছানি গঠন করতে পারে। তাই ছানি প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত পেঁপে খাওয়া উচিত।
ভিটামিন সি: কৌতূহল উদ্দীপক বিষয় হল শরীরের অন্যান্য অঙ্গের চেয়ে চোখের লেন্স ভিটামিন সি বেশী ধারণ করে। যদি আপনার চোখে ছানি হয়ে থাকে তাহলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা বলে সম্পূরক ভিটামিন সি গ্রহণ করুন।