চোখ লাল হলে যা করবেন
প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৭, ১৫:১৯
বিভিন্ন কারণে অনেক সময় চোখ লাল হয়। শরীরের সাধারণ সমস্যাতেও এমন হতে পারে আবার হতে পারে বড় রোগের কারণও, লক্ষণ বুঝে জানা যায় রোগের অস্তিত্ব। বিস্তারিত জানাচ্ছেন বারডেমের চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুর রাকিব তুষার।
রক্তচক্ষু মানুষকে সবাই বদরাগী মনে করে থাকেন। ব্যাপারটি বেশ অস্বস্তিকর। কিন্তু এই চোখ নানা কারণে লাল হতে পারে। অতিরিক্ত পানি দিয়ে পুকুর জলাশয়ে দীর্ঘক্ষণ গোসল করলে; বিশেষ করে যেসব প্রাকৃতিক জলাশয়ে গরু-ছাগল গোসল করে বা হাঁস চলাচল করে, চোখে কাজল দিলে, খুব কাঁদলে, চোখে সাবান লাগলে, শীতের সকালে ঠাণ্ডা হাওয়ায় হাঁটলেও স্বাভাবিক চোখ লাল হয়।
অস্বাভাবিক কারণে চোখ লাল হওয়া
চোখ ওঠা, চোখে ঘা হওয়া, চোখের গ্গ্নুকোমা, চোখে কোনো অস্ত্রোপচার করলে, কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহার করলে, ইউভিয়াইটিস হলে, অ্যালার্জি জাতীয় খাবার খেলে, চোখে ধুলাবালু গেলে এবং লেদ মেশিনে কাজ করতে গিয়ে চোখে লোহার কণা বা টুকরা গেলে চোখ লাল হয়।
এ ছাড়া যাদের দৃষ্টিশক্তি কম, জোর করে পড়াশোনা করতে গেলেও চোখ লাল হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চোখের টিউমার চোখ লাল হওয়ার কারণ হতে পারে। নেত্রনালী বন্ধ হলেও চোখের কোনা লাল হয়। চোখের সাদা অংশের সামনের দিকটি পাতলা ঝিলি্ল বা আবরণ দিয়ে ঢাকা থাকে। এ ঝিলি্লর নাম কনজাংটিভা। এই ঝিলি্ল অত্যন্ত সংবেদনশীল, খুব সহজেই তাতে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তখন তা লাল হয়ে ওঠে, চোখ লাল দেখায়। অল্প সময় পরে তা ঠিক হয়ে যায়।
লাল ভাব কেটে যায়। তবে কনজাংটিভায় যখন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি কোনো জীবাণুর আক্রমণ ঘটে তখন চোখের পাতার ভেতরের অংশে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় চোখে সবুজাভ সাদা রঙের পুঁজ (পিচুটি) জমে চোখের পাতা ফুলে যায়। এ অবস্থাকে বলা হয় কনজাংটিভাইটিস। এটি সাধারণত 'চোখ ওঠা বা চোখ লাল হওয়া' রোগ নামে পরিচিত।
পুরনো কিছু কুসংস্কার পদ্ধতি যেমন: চোখে গোলাপজল ব্যবহার, শামুকের পানি, তেল ও ভাত খাওয়ার পর হাত ধোয়া পানি চোখে দেওয়া, ঝাড়ফুঁক দেওয়া ইত্যাদিতে চোখের এ রোগটি আরও জটিল আকার ধারণ করে। লক্ষণ অনুসারে প্রতিকার ও প্রতিরোধ করলে চোখ ওঠা সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
সূত্র: সমকাল