সূর্যমুখী তেল এর যতো গুণ
প্রকাশ | ১৮ মে ২০১৭, ০৩:৩১
সূর্যমুখীর তেল অন্যান্য সাধারণ তেলের চাইতে একটু আলাদা। প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী বীজের তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা কাটাতে অত্যন্ত কার্যকর। আমাদের শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীরতে দীর্ঘদিন কর্মক্ষম রাখতেও সূর্যমুখীর ভূমিকা অনন্য।
এক গবেষণায় দেখা গেছে রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চাইতে সূর্যমুখী বীজ থেকে পাওয়া তেল দশগুণ বেশী পুষ্টিমান সমৃদ্ধ।
হাড় ভালো রাখে
সূর্যমুখী বীজ আমাদের শরীরের হাড় সুস্থ রাখে ও মজবুত করে। শরীরের ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও কপারের চাহিদা পূরণ করে সূর্যমুখী তেল।
ব্যথা দুর করে
এই বীজে আছে ভিটামিন ই, যা শরীরের নানা রকম ব্যথা দূর করতে সহায়তা করে। সূর্যমুখী তেলে থাকা ম্যাগনেসিয়াম আমাদের মানসিক চাপ দূর করে।
চুলের স্বাস্থ্য
একই কারণে অর্থ্যাৎ ভিটামিন ই থাকার কারণে সূর্যমুখীর তেল দ্রুত চুল বড় হতে সাহায্য করে।
মাথা ঠান্ডা রাখে
মাইগ্রেনের সমস্যা এবং আমাদের মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। সূর্যমুখী বীজের তেলে বিদ্যমান ভিটামিন ই আমাদের ত্বককে রক্ষা করে সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে।
ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে
ত্বকের অকালে বুড়িয়ে যাওয়া এবং ক্ষয় রোধে এই তেল খুবই উপকারী। সূর্যমুখী বীজ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো জোরদার করে। হাড়ের জোড়ায় ব্যথা, গ্যাস্ট্রিক আলসার, হাঁপানি ইত্যাদি রোগ সারিয়ে তুলতে সূর্যমুখীর তেল খুবই কার্যকর।
ওজন কমায়, হৃৎপিন্ড ভালো রাখে
এই তেল আমাদের দেহের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে আমাদের হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সূর্যমুখীর তেলের তুলনা হয় না।
সেরা রান্নার তেল
সূর্যমুখীর তেল শুধু রান্নার তেল হিসেবে ভালো। সূর্যমুখীর তেল ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এই তেল ব্যবহারে রোদে পোড়া দাগ কমে যায়।