স্নায়ুবিষ, টেস্টিং সল্ট!
প্রকাশ | ১২ মে ২০১৭, ১৮:১০
খাবারকে মুখরোচক বা মজাদার করতে স্বাদ লবণ বা টেস্টিং সল্ট নামের রাসায়নিক উপাদান বাড়িতে ও খাবার দোকানে বহুল ব্যবহূত হয়। এটি ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহার হলে স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, তাই বিজ্ঞানীরা একে স্নায়ুবিষ বলে থাকেন।
টেস্টিং সল্টের উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই বেশি। বাজারের বিভিন্ন প্যাকেটজাত ও বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের খাবারকে মুখোরোচক করার জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা হয়। এসব খাবারের মধ্যে অনেকগুলোই শিশু-কিশোরের কাছে লোভনীয়। ফলে এর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে শিশু-কিশোরদের উপর।
টেস্টিং সল্টের রাসায়নিক নাম সোডিয়াম গ্লুকোমেট, যা মানুষের স্নায়ুর জন্য ক্ষতিকর। এটি ব্যক্তির মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হ্রাস করে। ফলে গভীর মনোযোগের কাজ করতে গেলে স্নায়ুগুলোকে প্রচণ্ড কাজ করতে হয় এবং স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মেজাজ খিটখিটে হয়। এর কারণ হলো টেস্টিং সল্ট দেহে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুকে বিষিয়ে দেয়। ফলে স্নায়ুতন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, খাবারে অরুচি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, গলা জ্বালা, বুকে চাপ অনুভব করা, দুর্বল লাগা, হাতের বা পায়ের তালু জ্বালাপোড়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়।
টেস্টিং সল্ট সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হতো চীনে যা এখন সেখানে নিষিদ্ধ; কিন্তু বাংলাদেশের খাদ্য তালিকায় এখনো টেস্টিং সল্ট রয়ে গেছে। তাই যে সকল খাবারে টেস্টিং সল্ট ব্যবহার করা তা হয় সীমিত করতে হবে। অর্থাত্ খাবারের ব্যবহার কমাতে হবে; কিন্তু সেটাও হবে অনিয়মিত। তাহলে ধীরে ধীরে স্নায়ু ক্ষত পূরণ হবে। কোনো খাবার কেনার পূর্বে তাতে টেস্টিং সল্ট আছে কিনা দেখে নিতে হবে এবং সেই অনুযায়ী খেতে হবে।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ