গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যকর খাবারের সাথে জড়িত শিশুর সুস্থতা

প্রকাশ : ২২ জুন ২০১৬, ১৬:৪৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

গবেষকরা প্রায় ১৯ হাজার নারীর গর্ভধারণের এক বছর আগে থেকে তাদের খাদ্যাভাস পর্যালোচনা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন নারী গর্ভধারণের আগে এবং গর্ভধারণকালে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের নিয়ম মেনে চললে শিশুর হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

গবেষকরা ওই ১৯ হাজার নারীকে দুইটি গ্রুপে ভাগ করে তাদের ওপর গবেষণা কাজ চালান।

দুইটি গ্রুপের মায়েদের খাদ্যাভ্যাসের তুলনা করে গবেষকরা দেখেছেন, যেসব মা স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছেন তারা স্বাস্থ্যবান বাচ্চার জন্ম দিয়েছেন ও তাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও কম দেখা গেছে।

অন্যদিকে, যেসব মায়েরা পুষ্টিকর খাবার খাননি সেসব মায়েদের সন্তানেরা হৃদযন্ত্রে বড় ধরণের অস্বাভাবিকতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।

তাই যেসব নারীরা গর্ভধারণের পরিকল্পনা করছেন তাদের আগে থেকেই পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়। প্রচুর পরিমাণে ফলমূল-সবজি, বাদাম ও তাজা মাছ -স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের অন্যতম একটি মেন্যু।

বিশেষজ্ঞরা গর্ভবতী মায়েদের ফলিক এসিডসহ বিভিন্ন মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করার পরামর্শ দেন। মূলত মস্তিষ্ক ও হাড়ের সমস্য যেন না হয় এবং সন্তান যেন পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি পায় সেজন্য এ ধরণের পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকে।

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের সিনিয়র পুষ্টিবিদ ভিক্টোরিয়া টেলর বলেছেন, “এটা খুবই ইন্টারেস্টিং যে একজন নারীর জীবনের শুরু থেকে যে খাদ্যাভাস তার ওপরেই অনেক কিছু নির্ভর করছে। স্বাস্থ্যকর খাবার নিয়ম মেনে গ্রহণ করার ফলাফল তার গর্ভধারণের ক্ষেত্রে বড় একটি প্রভাব ফেলে”।

তবে গবেষকরা এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করতে চান।

ইংল্যান্ডে সরকারি স্বাস্থ্য পরিকল্পনায় গর্ভবতী নারীদের জন্য বিশেষ ভাউচারের ব্যবস্থা রয়েছে যেটি ব্যবহার করে তারা দুধ ও শাকসবজি কিনতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত