চুলকানী হলে করণীয়
প্রকাশ | ২৩ এপ্রিল ২০১৭, ২১:১০
স্ক্যাবিস রোগ যা আমাদের কাছে সাধারণত: চুলকানী নামে পরিচিত একটি ছোয়াচে চর্মরোগ। একে বাংলায় খোস-পাঁচড়া, দাদ বা বিখাউজ বলা হয়। সাধারণত স্পর্শের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত তোয়ালে, বালিশ ও বিছানার চাদর ব্যবহার করলে এ রোগ হতে পারে। এছাড়া স্কুলে যাওয়া শিশুরাও এতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়। সারকপটিস স্ক্যাবি নামক এক ধরণের জীবাণু ত্বকের অগভীরে ডিম পারে এবং বারোজ তৈরী করে যা খালি চোখে দেখা যায় না।
জীবাণু দ্বারা আক্রমণের ২ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে এর লক্ষণসমূহ দেখা যায়। লক্ষণগুলো হলো-অসহনীয় চুলকানী যা বিকেলের দিকে শুরু হয় এবং রাতের দিকে তীব্র আকার ধারণ করে। চুলকানোর স্থানগুলোতে ছোট ছোট দানা বাগুটির সৃষ্টি হয়। এই গুটিগুলো সাধারণত: মুখ ও মাথা বাদে সমস্ত শরীরেই দেখা যায়। তবে আঙ্গুলের ফাঁকে, বগলে, যৌনাঙ্গে, নাভি বা নাভির চারদিকে বেশী দেখা যায়। সাধারণত পরিবারের এক সদস্য থেকে অন্য সদস্যে স্ক্যাবিস দ্বারা আক্রান্ত হয়। তাই পরিবারের সবাইকে এই রোগের চিকিৎসাএক সঙ্গে করাতে হয়। নয়তো পর্যায়ক্রমে আবারো রোগীর গায়ে এই রোগ ফিরে আসে।
১.৫% পারমেথ্রিন বা ২৫% বেনজাইল বেনজয়েট গলা থেকে পা পর্যন্ত ভালভাবে লাগাতে হবে এবং ৭ দিন পর আবার একই নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে ওষুধ যেন ১২ ঘণ্টা শরীরে থাকে। তাই রাতে ওষুধ লাগাতে হবে এবং পরের দিন সকালে গোসল করতে হবে। পাশাপাশি চুলকানীর জন্য এ্যান্টি হিস্টামিন জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। ইনফেকটেড স্ক্যাবিস হলে এ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে। চিকিৎসা চলাকালীন সময় আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত পোশাক, বিছানার চাদর, সব কিছু ধুয়ে ভালভাবে রৌদ্রে শুকাতে হবে। স্ক্যাবিস কোন মারাত্মক রোগ নয়, তাই উপসর্গ দেখা মাত্রই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
লেখক: ত্বক, লেজার এন্ড এসথেটিক বিশেষজ্ঞ
সূত্র: ইত্তেফাক