জেনে নিন কিডনি নষ্টের কিছু কারণ!
প্রকাশ | ১১ এপ্রিল ২০১৭, ০০:৫৯
যেহেতু কিডনি ছাড়া আমরা অচল, তাই কিডনি নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই কিডনি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের অগোচরেই অনেক সময় কিছু অসাবধানতার কারণে আমরা কিডনির ক্ষতি করছি।
জেনে নেই কিডনি নষ্টের গুরুত্বপূর্ণ সেই কারণসমূহ
১। প্রস্রাব আটকে রাখা।
২। পর্যাপ্ত পানি পান না করা।
৩। অতিরিক্ত লবন খাওয়া।
৪। যেকোনো সংক্রমণের দ্রুত চিকিৎসা না করা।
৫। মাংস বেশি খাওয়া।
৬। প্রয়োজনের তুলনায় কম খাওয়া।
৭। অপরিমিত ব্যথার ওষুধ সেবন।
৮। ওষুধ সেবনে অনিয়ম।
৯। অতিরিক্ত মদ খাওয়া।
১০। পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নেয়া।
মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মত কিডনিও আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিডনিকে মানব দেহের ফিল্টার বলা হয়। কারণ কিডনি প্রাণী শরীরের পানি ফিল্টার করে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনির যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে বেঁচে থাকাও আর সম্ভব নয়। তাই নিয়ম করে শরীরের যত্ন নিন।
কিডনি ও কিডনি রোগ সম্পর্কে জানুন এবং সচেতন হোন।
- আপনার দুটো কিডনি প্রতিদিন প্রায় ১৭০ লিটার রক্ত পরিশোধিত করে আপনার শরীরকে সুস্থ রাখে।
- দুটো কিডনিতে প্রায় ২০-২৫ লাখ ছাঁকনি রয়েছে, যা অনবরত আপনার রক্তকে পরিশোধিত করে যাচ্ছে।
- কিডনি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে এবং আপনার অস্থিগুলো শক্তিশালী করে থাকে।
- কিডনির প্রধান রোগ নেফ্রাইটিস বা নেফ্রোটিক সিনড্রোম, যা কিডনির ছাঁকনি বা ফিল্টার মেমব্রেনকে ক্ষতবিক্ষত করে। এর কারণে শরীর থেকে অত্যাবশ্যক প্রোটিন বেরিয়ে যায়।
- প্রস্রাব প্রদাহ কিডনির একটি সাধারণ রোগ হলেও শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে।
- ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগ নয়, তবু কিডনিকে আক্রান্ত করে কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করে।
- যেসব রোগ কিডনিকে আক্রান্ত করে কিডনির কার্যকারিতা বিনষ্ট করে বা কিডনি ফেইলার হয়: ১. নেফ্রাইটিস ২. ডায়াবেটিস ও ৩. উচ্চ রক্তচাপ। সুতরাং
- ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগী কিডনি রোগে ভোগে থাকে।
- আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের ওপরে হয়, আপনি যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন অথবা বংশে যদি কিডনি রোগ থাকে, তবে অবশ্যই আপনার রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষা করে জেনে নিন, আপনার কিডনি রোগ আছে কি না।
- মেয়েদের গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ পরবর্তী পর্যায়ে কিডনি রোগের কারণ হতে পারে।
- শুধু রক্তচাপ, প্রস্রাব পরীক্ষা এবং রক্তের ক্রিয়েটিনিন ও সুগার পরীক্ষা করেই জানা যায় কিডনি রোগ আছে কি না।
বাংলাদেশে বর্তমানে দুই কোটি লোক কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক পর্যায় থেকে এসব রোগের চিকিৎসায় যত্নবান হোন এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিন।