৯টি দেশের হেলথ নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ
প্রকাশ | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২৩:৪৭
২০২২ সালের মধ্যে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এক নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হয়েছে ৯টি দেশ।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগে নতুন এ ‘হেলথ নেটওয়ার্ক’-এ বাংলাদেশ ছাড়াও আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া, ঘানা, ভারত, মালাউয়ি, নাইজেরিয়া, তাঞ্জানিয়া ও উগান্ডা যুক্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন এ নেটওয়ার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মাতৃস্বাস্থ্য, নবজাতক ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একসঙ্গে কাজ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রসূতি এবং সদ্যজাত শিশুর মৃত্যুহার কমানো, তাদের উন্নত স্বাস্থ্য ও অধিকার সম্বন্ধে সচেতন করতে এই নেটওয়ার্ক ভূমিকা রাখবে।
এতে বলা হয়েছে, নেটওয়ার্ক বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও অন্যান্য অংশীদার সংস্থার সঙ্গে মিলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি ওয়েবভিত্তিক কমিউনিটি তৈরি করবে, যেখানে স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে বিভিন্ন কৌশল, সৃজনশীল ধারণা, তথ্য ও অভিজ্ঞতার সন্নিবেশ থাকবে।
এই নেটওয়ার্ক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন বিষয়ে জাতিসংঘের নতুন ৮টি মানদণ্ড নিয়েও কাজ করবে; এর মধ্যে আছে অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া, বিশুদ্ধ পানি ও ভালো চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা, রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা।
২০৩০ সালের মধ্যে প্রসূতি, নবজাতক ও শিশু মৃত্যুর হার শূন্যে নামিয়ে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন এ নেটওয়ার্ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাতৃত্ব, নবজাতক ও শিশু চিকিৎসা বিভাগের পরিচালক ড. অ্যান্থনি কোস্টেলো।
তিনি বলেন, “সন্তানসম্ভবা প্রতিটি মা এবং সদ্যজাত শিশুর অধিকার রয়েছে তাদের কমিউনিটির মধ্যে থাকা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার। গত কয়েক দশকে স্বাস্থ্য-সেবা কেন্দ্রগুলোতে সন্তান জন্মদান ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন মনোযোগ দিতে হবে চিকিৎসার মানোন্নয়নে, যার মাধ্যমে তারা এই খাতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে।”
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এখনও প্রতিবছর গর্ভধারণ ও সন্তান জন্মদানের সময় বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩ লাখ ৩ হাজার মায়ের মৃত্যু হচ্ছে। জন্মের প্রথম মাসেই মারা যাচ্ছে অন্তত ২৭ লাখ শিশু।