জেনে নিন ব্রণের কারণ

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৫:৩১

জাগরণীয়া ডেস্ক

তরুণ-তরুণীদের অনেকেই ব্রণে আক্রান্ত হয়ে দুর্ভোগের শিকার হন। অনেকেই ব্রণ হলে কী খাওয়া যাবে এবং কী খাওয়া যাবে না, তার একটি তালিকা তৈরি করেন। এতে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বাদ দেওয়ার বিষয়টি অনেকেই গুরুত্ব দেন। তবে এ খাবারটি কি ব্রণের কারণ?

ব্রণ কেন হয়? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ত্বকের যেখানে লোম থাকে না সেখানেও লোমগ্রন্থি বা হেয়ার ফলিকল থাকতে পারে। মুখেও রয়েছে সেগুলো। আর ফলিকলের সঙ্গে থাকে সেবাসিয়াস গ্ল্যান্ড নামের এক ধরণের গ্রন্থি। যেখান থেকে এক ধরণের তরল নিঃসৃত হয়। যদি কোনো কারণে গ্রন্থির মুখ বন্ধ হয়ে যায় বা অতিরিক্ত তরল নিঃসৃত হতে শুরু করে বা জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে, তখন ব্রণ হতে শুরু করে। এটি সাদা, কালো বা লালচে রঙের হতে পারে।

এ বিষয়ে মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের কসমেটিক ও ক্লিনিক্যাল রিসার্চের পরিচালক ও ডার্মাটোলোজিস্ট ড. জসুয়া জেইচেনের বলেন, বিভিন্ন গবেষণাতে দুধের সঙ্গে ব্রণের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। কারণ ব্রণ হলো এক ধরণের সংক্রমণ। আর এটি হয়ে থাকে ত্বকের ভেতর তেল আটকে গিয়ে সৃষ্ট সংক্রমণ থেকে। এতে ব্যাকটেরিয়া সেসব ফলিকলের ভেতর গড়ে ওঠে। আর এতেই ব্রণ সৃষ্টি হয়।

গরুর দুধ এ ধরণের সংক্রমণের কারণ হতে পারে বলে মত ড. জেইচেনের। দুধের হরমোন দেহের টেস্টোস্টেরোনের মাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আর এতে ত্বকে সেবামের মাত্রা বৃদ্ধি করে, ফলে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়।

তাহলে ব্রণ হলে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত সামগ্রী বাদ দিতে হবে? এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রণের জন্য শুধু যে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত সামগ্রী দায়ী, এমনটা নয়। আরও বহু কারণে ব্রণ হতে পারে। তবে অতিরিক্ত দুধ পানের অভ্যাস থাকলে তা নিশ্চয়ই সীমিত করতে হবে। এছাড়া আরও কিছু বিষয় আছে, যা ব্রণের কারণ হতে পারে। এগুলোও বাদ দিতে হবে।

ব্রণের জন্য অন্যান্য যেসব কারণ দায়ী সেগুলো দূর করার বিষয়েও গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব বিষয়ের মধ্যে রয়েছে মানসিক চাপ, সঠিকভাবে পর্যাপ্ত না ঘুমানো, বেশি তৈলাক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খাওয়া, পানি কম পান করা ইত্যাদি। এছাড়া বংশগত কারণে, ত্বকের ধরণের কারণে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে কিংবা অতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের কারণেও ব্রণ হতে পারে।

ব্রণ দূর করার কয়েকটি উপায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন ব্রণ দূর করার জন্য কয়েকটি বিষয় মেনে চলা উচিত। এগুলো হলো-
-প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার সীমিত করতে হবে
-প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে
-মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে
-প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে
-দুধ ও চিনি কম খেতে হবে
-নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে
-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
-তৈলাক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া সীমিত করতে হবে

সূত্র: ফক্স নিউজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত