মূলার নানা উপকারিতা
প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৩২ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:৫৭
মূলার নাম শুনেই অনেকেই বিরক্ত হন। আবার অনেকেই এই সবজি খেতে চান না। কিন্তু মূলায় মেলে নানা উপকার। তরকারি হিসেবে বা সালাদে নানাভাবে মূলা খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, মূলার মেলা পুষ্টিগুণ। যকৃৎ ও পাকস্থলী পরিষ্কারে মূলার জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত তাই খাবার টেবিলে মূলা রাখতেই পারেন।
জেনে নিন মূলার নানা উপকারের তথ্য -
যকৃৎ ও পাকস্থলী বিষমুক্ত করতে পারে মূলা। মূলা সাদা, লাল বা কালো রঙের হতে পারে। শীতকালে সাদা মূলা সহজে চোখে পড়ে। এ মূলায় প্রচুর ভিটামিন সি আছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। কালো রঙের মূলা ও এর পাতা অনেক দিন ধরে জন্ডিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মূলায় যে উপাদান আছে, তা রক্ত শোধনে সহায়তা করে। মূলায় আছে প্রচুর সালফার।
রক্তের লোহিত কণিকা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে মূলা। মূলা খেলে রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে।
মূলায় প্রচুর ফাইবার আছে। প্রতিদিন যদি সালাদের সঙ্গে অল্প পরিমাণে মূলা খাওয়া যায়, তবে শরীরে ফাইবার আসায় হজম ভালো হয়। এটি পিত্ত উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে, যকৃৎ ও গল ব্লাডারকে রক্ষা করে। শরীরে পানি ধারণক্ষমতার বাড়াতে মূলা খাওয়া যেতে পারে।
হৃদযন্ত্র সুরক্ষা করতে পারে মূলা। এতে আছে অ্যান্থোসায়ানিনস, যা হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তাই বেশি মূলা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এটি ভিটামিন সি, ফলিক অ্যাসিড ও ফ্লাভোনয়েডসের ভালো উৎস।
মূলায় আছে পটাশিয়াম, যা শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি পূরণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁরা মূলা খেতে পারে। আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, রক্ত শীতলকারী প্রভাব আছে মূলায়।
এতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকায় সাধারণ সর্দি কাশি থেকে সুরক্ষা দেয় এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত মূলা খেলে শরীরে ক্ষতিকর মুক্ত উপাদান তৈরি হয় না। এ ছাড়া প্রদাহ ও অকালবার্ধক্য দূর হয়।
কোলাজেন তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মুলা, যা রক্তনালিকে শক্তিশালী করে এবং অথেরোসক্লেরোসিস নামের ধমনির রোগ হতে বাধা দেয়।
শুধু পাঁচনতন্ত্রই নয়, এটি বিপাকেরও ভালো বন্ধু। অম্ল, স্থূলতা, গ্যাসট্রিক, মাথাব্যথা, বমিভাব দূর করে মূলা।
প্রতিদিন মূলার জুস খেলে ত্বক সতেজ থাকে। মূলায় থাকা ভিটামিন সি, জিংক ও ফসফরাস এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। ত্বকের শুষ্কতা, ব্রণ বা দাগ দূর করতে পারে। মূলার পেস্ট তৈরি করে মুখে মাখলে ত্বক সজীব থাকে। এ ছাড়া চুলের খুশকি দূর করতে, চুল পড়া বন্ধ করতে, চুলের গোড়া শক্ত করতে পারে মূলা।
মূলায় জলীয় পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শরীরকে আর্দ্র রাখে।
লাল মূলায় ভিটামিন ই, এ, সি, বি৬ ও কে আছে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও ভরপুর। এতে আছে ফাইবার, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, কপার, ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ম্যাংগানিজ। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে কর্মঠ রাখতে সাহায্য করে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি