ফিলিং করাতে ক্ষতি হচ্ছে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের!
প্রকাশ | ১৯ নভেম্বর ২০১৬, ১৪:০০
দাঁতে পোকা? ফিলিং করাবেন? সাবধান। ফিলিং করাতে গিয়ে আপনার রক্তে ঢুকছে পারদ। ক্ষতি হচ্ছে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের। অটিজমে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা।
গুচ্ছের ক্যাডবারি, লজেন্স, কেক-প্যাস্ট্রি। বা গপাগপ সাঁটাচ্ছেন মিষ্টি। ফল? দাঁতের দফারফা। শুধু তাই নয়, মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিডিটিতে দাঁত গোল্লায়। ক্ষইতে ক্ষইতে দাঁতে ইয়াব্বড় গর্ত। যন্ত্রণায় মাথার চুল ছেঁড়ার জোগাড়। উপায়? গর্ত বোজাও। এই দাঁত ফিলিং করতে গিয়েই সর্বনাশ। রক্তে ঢুকছে বিষাক্ত পারদ। আমেরিকার জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই মারাত্মক তথ্য। মানুষ যেসব ক্রনিক অসুখে ভোগে, তার মধ্যে অন্যতম দাঁতে গর্ত। আর তা থেকে মারাত্মক যন্ত্রণা। যন্ত্রণার উপশমে দাঁতে ফিলিং করাতে ছোটেন সবাই। যে অ্যামালগাম দিয়ে দাঁত ফিলিং করানো হয়, তাতে রয়েছে পারদ, রুপো, টিন এবং আরও বেশ কিছু ধাতু। দাঁত ফিলিংয়ের জন্য যে অ্যামালগাম ব্যবহার করা হয়, তাতে বেশি মাত্রায় মিথাইল পারদ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। তাতেই বাজছে বিপদঘণ্টি।
গবেষকদের দাবি, এই পারদ বেশিমাত্রায় শরীরে ঢুকলে বিপদ অনিবার্য। মারাত্মক ক্ষতি করে মস্তিষ্ক, হার্ট, কিডনি, ফুসফুসের। কমিয়ে দেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে একবার কি দুবার দাঁত ফিলিং করালে সমস্যা নেই। আটবারের বেশি ফিলিং করালে যে পরিমাণ পারদ রক্তে মেশে, তাতেই বিপদ বেড়ে যায় প্রায় ১৫০ শতাংশ। এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকরা। এর বিকল্প কী? গবেষকরা বলছেন, পারদহীন কম্পোজিট রেসিনস দিয়ে দাঁত ফিলিং করানো যেতে পারে। তবে বিপদ সেখানেও। এই রেসিনস থেকে খুব কম পরিমাণ বিসফেনল A নির্গত হয়। তাতে শরীরের বৃদ্ধি কিংবা প্রজনন প্রক্রিয়ার ওপর কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে।