ধূমপানে বিষপান, এখনি হও সাবধান!
প্রকাশ | ২৮ মে ২০১৬, ১৬:০২
মানুষের এক সহজাত স্বভাব খারাপ জিনিসের প্রতি আসক্তি। আর নেশার জগতে আর একটি বিশেষ নাম ধূমপান। ধূমপান শরীরের জন্য যে ক্ষতিকারক তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। মরণ বেধি ফুসফুসের কেন্সার সহ শাস-প্রশ্বাস নালীর কঠিন অসুখ সহ উচ্চ রক্তচাপের মত কঠিন সমসায় আক্রান্ত হয়ে কার্যত ধূমপায়ীদের আয়ু অনেকাংশে কমে যায়।
তাই আপনি যদি এখনি ধুমপান বর্জন করেন তবে তার সুফল সাথে সাথে পেতে শুরু করবেন৷ নিম্নের বর্ণনা থেকেই বুঝবেন ধুমপান বর্জন শরীরকে কি ভাবে পুনর্গঠিত করে
১. বর্জনের বিশ মিনিটে মধ্যে রক্তচাপ কমতে শুরু করে, ধমনী বা নাড়ীর স্পন্দন প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসে, হাত বা পায়ের তাপমাত্রা বেড়ে স্বাভাবিক হয়ে আসে।
২. বর্জনের আট ঘন্টার মধ্যে রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইড এর পরিমান স্বাভাবিক হয়ে আসে, রক্তে অক্সিজেনের পরিমান বেড়ে যায়।
৩. বর্জনের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে হার্ট এটাকের ঝুকি কমে যায়।
৪. বর্জনের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নার্ভকোষ নতুন করে গজাতে শুরু করে, মুখের সাদ বা খাওয়ার রুচি ফিরে আসে।
৫. বর্জনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে শ্বাসনালি রিলাক্স বা ঢিলা হয়ে আসার ফলে শাস-প্রশ্বাস সহজসাধ্য হয়ে আসে।
৬. বর্জনের ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা ৩০% বৃদ্ধি পায়, রক্তসন্চালনের উন্নতি ঘটে।
৭. বর্জনের ১ থেকে ৯ মাসের মধ্যে কাশি, সর্দির প্রভাব অনেক কমে যায়, সেই সাথে দুর্বলতা এবং শাস-প্রশ্বাসের কষ্ট ও কমে যায়৷ ফুসফুসের ছিলিয়ার পুনর্জন্মের ফলে জমে থাকা মিউকাস পরিস্কার করা সহজসাধ্য হয় এবং এর ফলে ফুসফুসের ইনফেক্সন কমে যায়।
৮. ৫ বছরের মধ্যে ফুসফুসের কেন্সার জনিত মৃত্যুর হার শতকরা ৫০ ভাগ কমে যায়।
৯. ১০ বছরের মধ্যে ফুসফুসের কেন্সারের ঝুকি কমে যেয়ে যারা জীবনে ধুমপান করে নাই তাদের পর্যায়ে চলে আসে! শরীরের অন্যান্য কেন্সার যেমন মুখ,গলা,কিডনি, ব্লাডারের ঝুকিও কমে যায়।
তাছাড়া ধুমপান বর্জন করলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়, সেই সাথে পরিধানের কাপড় এবং চুলে স্বাভাবিক গন্ধ ফিরে আসে দাত সাদা হয়, খরচ কমে যায় (প্রতিদিন
১ পেকেট সিগারেটে বছরে প্রায় ১ হাজার ডলার খরচ হয় ) পরিবারের অন্যান্য সদস্য বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য ভালো থাকে জীবনের আয়ু বাড়ে এবং সুখী জীবন যাপন সহজসাধ্য হয়।