গর্ভবতী অবস্থায় কি করবেন, কি করবেন না
প্রকাশ | ১৯ আগস্ট ২০১৬, ১৮:১৯
গর্ভধারণ। প্রত্যেক নারীর জীবনে একটি বিশেষ মুহূর্ত। মা এবং বাচ্চার সুস্থতার জন্য এইসময় অনেক সাবধানতার প্রয়োজন হয়। পুরো গর্ভধারণকালীন স্টেজে মা কি খাবে, কি খাবেনা এমনকি সে কোনও কাজকর্ম করবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই অনেক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এটা কি জানেন একটু এদিক-ওদিক হলেই বিপদ! ক্ষতি হতে পারে মা-বাচ্চা, দুজনেরই। তাই সুস্থ থাকতে প্রয়োজন বিশেষজ্ঞের সঠিক পরামর্শ। প্রেগন্যান্সির ডু অ্যান্ড ডোন্টস নিয়ে জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
গর্ভধারণের প্রথম ১৪ সপ্তাহ অর্থাৎ ফার্স্ট ট্রাইমেস্টার
১. এই সময় পাকস্থলীতে বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয় না। তাই অল্প অল্প করে বারবার খেতে বলা হয়। পেঁপে, আনারসের মতো ভিটামিন-এ জাতীয় খাবার কম খেতে বলা হয়। কারণ এতে টেরাটোজেনিক এফেক্ট পড়ায় গর্ভপাত হয়ে যেতে পারে। তবে এই সময় বেশি খেলে বাচ্চা বড় হয়।
২. প্রথম ছমাস যৌন মিলন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা উচিত। তা নাহলে প্রি-ম্যাচিওরড বেবি হতে পারে। এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে।
৩. এই সময় কোষ্ঠকাঠিন্ন্যের সমস্যা হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে বার বার জল খাওয়া উচিত। ফাইবার জাতীয় খাবার খেতে হবে। এই সময় ঢ্যাঁড়শ খুব উপকারী।
৪. অনেকেই বলেন এই সময় সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া উচিত। কিন্তু সবক্ষেত্রে এই ধারনা ঠিক নয়। সাধারত বেড রেস্ট-এর দরকার পড়ে না। এটা মূলত নির্ভর করে ইউটেরাসের মধ্যে বাচ্চা কিভাবে লেগে থাকে তার উপর। হরমোনাল ডিফেক্ট থাকলে বিশ্রামের দরকার হয়।
গর্ভধারণের ১৪-২৮ সপ্তাহ অর্থাৎ সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার
এই সময় তুলনামূলক ঝুঁকি অনেক কম থাকে। সেকেন্ড ট্রাইমেস্টারে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন তবে সেটা ২৫ শতাংশের বেশী যেন না হয়। প্রোটিনের পরিমাণ বেশী হলে বাচ্চা মারা যেতে পারে।
গর্ভধারণের ২৮-৪০ সপ্তাহ অর্থাৎ থার্ড ট্রাইমেস্টার
১. ফার্স্ট ট্রাইমেস্টারের মতো এই সময়ও সুষম খাদ্য খেলে বাচ্চা বড় হয়।
বিশেষ টিপস:
১. গর্ভাবস্থায় ফ্রি হ্যান্ড, যোগা করা যেতে পারে।
২. এই সময় বাচ্চার মুভমেন্ট দেখাটা খুব লক্ষ্যনীয়। প্রথম ১২ ঘন্টায় অন্তত ১০ বার বাচ্চার মুভমেন্ট হতে হবে।
৩. প্রথম তিনমাসের মধ্যে বমি, ব্লিডিং, ইউনারি ইনফেকশন, জ্বর ও ডায়েরিয়া হতে পারে। এই সময় জল ভাঙলে, ব্লিডিং হলে, যন্ত্রণা হলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।