জেনে নিন মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ চেনার উপায়

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২৭

জাগরণীয়া ডেস্ক

ঔষধের সহজলভ্যতা এবং স্বল্পমূল্য বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একরকম আশীর্বাদস্বরূপ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে ফার্মেসীগুলোতে সহজেই হাতের নাগালে পাওয়া যায় যে কোন ধরনের ঔষধ। তবে তা ক্রয়ের ক্ষেত্রে সকলের সচেতন হওয়া জরুরী এবং যে কোন ঔষধই ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ক্রয় বা বিক্রয় করা অবশ্যই ভয়াবহ। কেনার সময় অবশ্যই ঔষধের মেয়াদ দেখে কিনতে হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ব্যবহারের ফলে প্রায়ই নানা মারাত্মক অসুবিধায় পড়তে হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এবং অনেকেই দীর্ঘমেয়াদে নানা রোগে ভুগেছেন।

বাংলাদেশের জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, ঢাকার ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি করা হয়। অধিদপ্তর ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের মার্চ সময়কালে সংস্থার নিয়মিত বাজার অভিযানে যেসব ফার্মেসি বা ঔষধ বিক্রির দোকান পরিদর্শন করা হয়েছে তাতে ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতেই তারা মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ পেয়েছেন।

যেভাবে চিনবেন মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ
সাধারণত সকলের ঔষধ এর প্যাকেট বা বক্স এর গায়েই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া থাকে। তবে খুচরা পাতা হিসেবে বা পিস হিসেবে ঔষধ কেনার ক্ষেত্রে অনেকেই জানেন না কোথায় কিভাবে খুজে পাবেন মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ।

দোকান থেকে ঔষধ কেনার সময় হয় সম্পূর্ণ স্ট্রিপ বা ঔষধের পাতা কেনা বা খুচরা পাতা বা পিস হিসেব কেনার আগে দোকানদারের হাত থেকে নিয়ে চেক করুন। ঔষধের স্ট্রিপ এর গায়ে উপরে বা নিচের অংশে স্পষ্ট কিছু ইংরেজি সংখ্যা এবং অক্ষরে ওই ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণের সময় কাল লেখা আছে।

ছবিতে লাল তীর চিহ্ন দিয়ে ইংরেজি "E" অক্ষরের পাশে মেয়াদ উত্তীর্ণের মাস এবং বছর দেয়া থাকে, এখানে "E" তে Expire বুঝানো হয়েছে, প্রথম দুটো সংখ্যা মাস কে বুঝায়, পরের দুটো সংখ্যা বছর বুঝায়, ধরুন দেওয়া থাকলো : E0221, মানে হলো এই ঔষধের মেয়াদ ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ E- মেয়াদের উত্তীর্ণ, 02- ২য় মাস তথা ফেব্রুয়ারি এবং শেষের 21- দ্বারা বুঝানো হয়েছে ২০২১ সাল। এইভাবে সব ঔষধের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে, তাই কেনার পূর্বে তা দেখে নেওয়া উচিৎ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত