আলস্যের ফাঁদে বিশ্বের ১৪০ কোটি মানুষ
প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:২১
বিশ্বব্যাপী মানুষের অলসতা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাটি ‘দ্যা লেনসেট পাবলিক হেলথ’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পর দেখা যায়, বিশ্বে ১৬৮টি দেশের মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে জরিপ চালিয়ে দেখা যায় অলস ব্যক্তির সংখ্যা ভয়াবহ হারে বাড়ছে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী প্রায় ১৪০ কোটি বেশি মানুষ কোন ধরণের শারীরিক কার্যকলাপের মধ্যে থাকে না। এই সংখ্যা ২০০১ সাল থেকে ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০১ সাথে থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ যেমন যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ গুলোতে অলস এবং নিষ্ক্রিয় ব্যক্তির সংখ্যা ৩১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৩৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
তবে এদিকে স্বল্প আয়ের দেশে অলস ব্যক্তির সংখ্যা আনুমানিক ১৬ শতাংশ।
নিউজিল্যাল্ড, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানুষরা বেশি সক্রিয় থাকে তাদের কাজ নিয়ে। যদিও প্রচলিত আছে বিশ্বব্যাপী নারীরা পুরুষের চেয়ে বেশি অলস সময় কাটায়। কিন্তু জরিপে দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়ার, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা এমনকি উচ্চ আয়ের পশ্চিমা দেশগুলোতে নারীরাই অনেকাংশে বেশি সক্রিয় থাকে তাদের কাজে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, ধনী দেশগুলিতে বাসস্থানমূলক চাকরি এবং গন্তব্য স্থানে যাওয়ার জন্য মোটর পরিবহণের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রায় নিষ্ক্রিয়তার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে নিম্ন আয়ের দেশের মানুষের গণপরিবহনের ব্যবহার এবং কর্মস্থানে অনেক সময় হেঁটে যাওয়ার কারণে তারা ওই সকল দেশের মানুষের জন্য বেশি সক্রিয়।
তাই এই শঙ্কা থেকেই ডব্লিউএইচও বিশ্বব্যাপী নিষ্ক্রিয়তার হার ১০ শতাংশ কমিয়ে আনার জন্য ২০২৫ সালে একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
রিপোর্টে আরও বলা হচ্ছে, প্রায় এক-চতুর্থাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অলস এবং অপর্যাপ্ত শারীরিক কার্যকলাপের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগ। প্রত্যাহিক জীবনে মানুষের এই ধরণের আলস্যতা স্বাস্থ্যহানীর জন্য দায়ী। এর ফলে বেড়ে যাচ্ছে ডায়াবেটিকস এবং ক্যানসারের মত রোগ।